মিরসরাইয়ে মো. এমদাদুল হক (৪৮) নামে দুবাইফেরত এক প্রবাসীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে খোদ স্ত্রী নারগিস মোস্তারিকের (৪০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বুধবার (২২ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত এমদাদ দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির মৃত মনছুর আহম্মদের ছেলে। তাদের নাহিয়ান (১৯) ও নামিয়ান (৮) নামে দুই ছেলে রয়েছে। নাহিয়ান একাদ্বশ শ্রেণীতে এবং নামিয়ান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী মেয়ের জামাইকে খুন করতে লাখ টাকা দিয়েছিল শাশুড়ি
নিহতের ছোট ভাই কামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ভাবি ফোন করে জানান ভাইয়া বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছেন। তিনি পুরাতন বাড়ির অদূরে নতুন বাড়িতে বসবাস করছিলেন। পরে আমি ও আমার অন্য দুভাই মিলে তাদের ঘরে গিয়ে দেখি নিচের ফ্লোরে ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। তার হাত ও বুকে দাগ এবং নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। তিনি আরও বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে ভাবির দীর্ঘদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। এর আগেও আমার ভাইকে খুন করতে তিনি লোক পাঠিয়েছিলেন। আমার ভাইকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে তিনি মেরে ফেলেছেন।
নিহত এমদাদের আরেক ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, ভাইয়া এক বছর আগে প্রবাস থেকে বাড়ি আসেন। ভাবি সবসময় বাবার বাড়িতে থাকতে চাইতেন এবং উনার বাবার এলাকায় ভাইয়াকে বাড়ি করতে বলেন। ভাইয়া তার কথায় রাজি না হওয়ায় প্রায়সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। কিন্তু এভাবে ভাইয়াকে মেরে ফেলা হবে, কখনো ভাবিনি। আমরা খুনির বিচার চাই।
যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ সকালে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকা থেকে এমদাদুল হক নামে এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করেছি। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের হাতে-বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী নারগিসকে থানায় আনা হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এএ/আরবি