পুকুরে মিলল যুবকের মরদেহ, মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন

লোহাগাড়ায় পুকুর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

১১ অক্টোবর (সোমবার) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুসাঙ্গেরপাড়া এলাকায় মহাবোধী মন্দির সংলগ্ন পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ও স্থানীয়রা।

নিহত যুবকের নাম জনি দাশ (১৮)। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ধুপি পাড়ার সুনীল চন্দ্র দাশের ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জনি বড়হাতিয়া ইউনিয়নের মনুফকির হাটের ধুপি দোকানের মালিক। গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যার পর তিনি বাড়িতে ফিরেননি। পরিবারের লোকজন বন্ধুর সঙ্গে কোথাও বেড়াতে গিয়েছে ভেবে খোঁজ নেয়নি ।

আরও পড়ুন: উঠানে খেলছিল তিন বছরের জিহাদ, হঠাৎ ভেসে উঠল পুকুরে

নিহতের ছোট ভাই অভি দাশ জানান, আমার ভাইয়ের দোকানে আমিও একসঙ্গে কাজ করতাম। গত শনিবার রাত ৮টায় ভাইয়ের মোবাইলে একটি কল এলে তিনি তাড়াতাড়ি দোকান থেকে বের হয়ে চলে যান। জিজ্ঞেস করলে বন্ধু কল করেছে বলে জানায়।

নিহতের বাবা সুনীল চন্দ্র দাশ জানান, গত শনিবার রাতে আমার ছেলেকে তার এক বন্ধু ফোন করেছিল। বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গেছে মনে করে আমরা কোথাও খোঁজ করিনি। শিমুল নামের এক দোকানদার জনির লাশ মন্দিরের পাশের পুকুরে দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. জাকারিয়া রহমান জিকু, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ, চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মু. রাফিকুল ইসলাম জামান ও বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী।

আরও পড়ুন: খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবল ৩ বছরের শিশু

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া রহমান জিকু আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম মন্দির সংলগ্ন পুকুর থেকে জনির মরদেহ উদ্ধার করে। মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ।

সাত্তার/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!