পাহাড়ের মায়াবী হরিণ, লোকালয়ে রক্তাক্ত—যা ঘটেছিল

পাহাড়েই বিচরণ ছিল মায়াবী হরিণটির। কেন যে আজ (২৮ মে) লোকালয়ে এলো জানা নেই কারো। কেউ বলছে — খাদ্যের খোঁজে, আবার কেউ বললো— পথ হারিয়েছিল হরিণটি। তবে যে কারণেই হোক না কেন, পাহাড় থেকে লোকালয়ে আসাটাই কাল হলো মায়াবী হরিণটির!

ঘটনাটা শুক্রবার দুপুরের। আকবরশাহ কবরস্থানে হঠাৎ এক হরিণের আর্তনাদ। শব্দটা কোনদিক থেকে আসছে কান পেতে তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণকারী আনোয়ার। নিশ্চিত হয়েই দ্রুত ছুটে গেলেন সেখানে।

কবরস্থানের ওই স্থানটিতে ছিল একটি মায়া হরিণ। আর হরিণটিকে কামড়াচ্ছিল কয়েকটি বেওয়ারিশ কুকুর। আনোয়ার দ্রুত সেখানে গিয়ে চিৎকার দিতেই পালালো কুকুরের দল।

এরপর রক্তাক্ত হরিণটিকে নিয়ে তিনি ছুটলেন ভেটেরিনারি পশু হাসপাতালে। কিন্তু পথিমধ্যেই জানলেন আজ শুক্রবার তাই হাসপাতাল বন্ধ। তৎক্ষণাৎ ফোন দিলেন একজন চিকিৎসককে। তাঁর পরামর্শে আহত হরিণটিকে নিয়ে গেলেন এক ফার্মেসিতে।

কিন্তু আনোয়ারের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে গেল। কারণ সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জীবনের মায়া ত্যাগ করলো মায়া হরিণটি।

আনোয়ার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বেশ কয়েকটি কুকুর হরিণটিকে টানা হেঁচড়া করছিল। সেখান থেকে আহত হরিণটিকে উদ্ধার করি। অনেক চেষ্টা করেছি হরিণটির প্রাণ রক্ষায়, কিন্তু পারিনি।

আনোয়ারের চোখে-মুখে তখন রাজ্যের হতাশা। একটু অনুশোচনাও। কুকুর নয়, হরিণটির মৃত্যুর জন্য যেন উনিও খানিকটা দায়ী!

স্থানীয় কয়েকজন জানান, আকবরশাহ এলাকার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি পাহাড়ে বেশকিছু হরিণ রয়েছে। খাদ্যের অভাবে এসব হরিণ দিনের বেলায় লোকালয়ে এসে পড়ে।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!