পাঠক—দর্শক মোহিত করার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ

নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর)। শব্দশৈলীতে পাঠকদের মুগ্ধ করার জাদুকর তিনি।

জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্ম নেন। তাকে সবাই কাজল নামে ডাকতেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা আয়েশা ফয়েজ গৃহিণী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের এই অধ্যাপক লিখেছেন ‘নন্দিত নরকে, লীলাবতী, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, গৌরিপুর জংশন, নৃপতি, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচিনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো ঝড় তোলা উপন্যাস। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা তিনশরও বেশি।

তার চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত ও ঘেটুপুত্র কমলা দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসাসফল।

আরও পড়ুন : আহমদ ছফার রচনা নিয়ে ৯ খণ্ডের রচনাবলী প্রকাশ

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি গানও লিখেছেন। তাতে সুরও দিয়েছেন। ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’, ‘চাঁদনী পসরে কে’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’, ’এক যে ছিল সোনার কন্যা’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা বেড়া ভাঙা চালার ফাঁকে’, ‘চাঁদনী পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়’ হচ্ছে এরমধ্যে অন্যতম।

তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি । তার ছোট ভাই কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল। আরেক ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন এ জনপ্রিয় লেখক।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তার প্রিয় ‘নুহাশপল্লী’র লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হুমায়ূন আহমেদ।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!