পতেঙ্গা থানার পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয় ওরা

তারা তিনজন। পরিচয় দেন পতেঙ্গা থানা পুলিশের এসআই। ঘুরে বেড়ান পতেঙ্গা সৈকতসহ আশপাশের এলাকায়। সুযোগ পেলেই বেড়াতে আসা টার্গেট লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনিয়ে নেন নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র। গত এক মাস ধরে সৈকত এলাকায় এসব অপকর্ম করছিল তারা। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি। একই কায়দার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় চক্রের মূলহোতা মো. জালাল উদ্দিন খাঁন রাকিবকে (২২) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের পতেঙ্গা সৈকত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় চক্রের আরও দুসদস্য পালিয়ে যায়।

আটক জালাল উদ্দিন খাঁন রাকিব চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের সোনার গ্রাম এলাকার মো. মহিউদ্দিনের ছেলে। তিনি পতেঙ্গা নাজিরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় ফায়ার সেফটি প্ল্যান—লাইসেন্স ছাড়াই চলে ডিপো

পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পতেঙ্গা সৈকত সংলগ্ন এসএপিএল পার্কিংয়ের অপর পাশে বিচের ওয়াকওয়েতে হাঁটছিলেন রাজিব উদ্দিন ও আজগর নামে দুব্যক্তি। তখন আসামি রাকিবসহ আরও দুজন তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এসময় রাকিব নিজেকে পতেঙ্গা থানা পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে রাজিব ও আজগরকে ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে ছিনিয়ে নেয় নগদ সাড়ে ১০ হাজার টাকা। পরে তাদের সন্দেহ হলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে মো. জালাল উদ্দিন খাঁন রাকিবকে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করে। তবে দুজন পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক(এসআই) শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত এক মাস ধরে তারা নিজেদের পতেঙ্গা থানা পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মানুষের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা জালাল উদ্দিন খাঁন রাকিবকে আটক করে থানায় খবর দেয়।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের ধাওয়ার সময় চক্রের আরও দুসদস্য পালিয়ে যায়। তাদের একজনের নাম মনছুর বলে জানা গেলেও অপরজনের পরিচায় পাওয়া যায়নি।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!