পতেঙ্গায় সন্ত্রাসী ‘গাভী’ ইলিয়াছের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

হামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পতেঙ্গা থানার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যবসায়ী নুরুল আবছার। তিনি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে নুরুল আবছার বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১২টা ১৪ মিনিটে পতেঙ্গা নেভাল সমুদ্রসৈকত থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলাম। পথে ১৬ নম্বর চাইনিজ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি সাদা রঙের পিকআপ আমার গাড়ির সামনে এসে গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইলিয়াছ সওদাগর প্রকাশ গাভী ইলিয়াছের ১৫ থেকে ২০ জনের একটি বাহিনী আমার গাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় গাভী ইলিয়াছ প্রাইভেটকারের (চট্টমেট্রো গ ১২-৯০৫০) গ্লাসের ফাঁকে পিস্তল দিয়ে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করে। আমি বুঝতে পেরে কৌশলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত সরে গিয়ে পতেঙ্গা মডেল থানায় ছুটে যাই। পরে ঘটনাটি পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নুরকে খুলে বলি। এ সময় তিনি আমাকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন: জেলেদের আতঙ্ক ‘গাভী ইলিয়াছ’ ধরা খেল পতেঙ্গায়

তিনি বলেন, বারবার হামলা করেও থেমে নেই ইলিয়াছ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। যেকোনো সময় আবার আমার ও পরিবার-পরিজনদের প্রাণনাশের চেষ্টা হতে পারে। সন্ত্রাসী গাভী ইলিয়াছ ও তার ভাইসহ পুরো সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, র‌্যাব-৭, বন্দর ডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি পণ্য সরবরাহকারী ব্যবসা করি এবং আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। গত নির্বাচনে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলাম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ডিবি বন্দর পুলিশ চাঁদাবাজির মামলায় গাভী ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। কিন্তু তিনি জামিনে বের হয়ে চলে আসে। পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটের জেলে মনু মিয়ার করা মামলায় পতেঙ্গা থানা পুলিশ গাভী ইলিয়াছকে আবারও গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াছ সওদাগর প্রকাশ গাভী ইলিয়াছ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ২০১৮ সালে আমি আবছারের মাদক ব্যবসায় বাধা দিলে সেই থেকে আবছারের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আমার বিরুদ্ধে করা তার সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

যোগাযোগ করা হলে পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নুর বলেন, নুরুল আবছারের ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর ছেলে শাহেদুল ইসলাম সুমন, বড় ভাই আবদুর নুর, ভগ্নিপতি মো. ফারুক, ভাতিজা সাইফুল ইসলাম ও ফয়সাল।

এসডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!