নৌ পুলিশের ‘চোখ রাঙানিতেও’ বেপরোয়া চক্র—ধরা খেল ৭ চোর

নৌ পুলিশের কঠোর নজরদারির পরও কর্ণফুলী নদীতে নোঙর করা জাহাজে চুরি কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নিত্যনতুন কৌশলে চুরিতে সক্রিয় চোরচক্র। এই চক্রকে সহায়তা করছে জাহাজে থাকা কর্মচারী। এবার গভীর রাতে আমদানি করা স্ক্র্যাপ চুরি করতে গিয়ে নৌ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মাস্টার, সুকানীসহ ৭ জন।

শনিবার (১১ জুন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরঘাট নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চুরি করা মালামালসহ চক্রের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ চোরই জাহাজের তেল নিয়ন্ত্রক, নৌ পুলিশের ‘চোখ রাঙানিতেও’ থামেনি তেল চুরি

আটকরা হলেন- মাগুরা মোহাম্মদপুর খালিসাখালী এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে এমভি টিটু ১৬ জাহাজের মাস্টার আমিরুল ইসলাম (৫৫), পটুয়াখালী বাউফল আয়লা এলাকার বাবুল মল্লিকের ছেলে জাহাজের সুকানী মো. রিয়াদ মল্লিক প্রকাশ সোহাগ (২০), ভোলা বোরহানউদ্দিন পক্ষিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাজের সুকানী মো. রাকিব হোসাইন (২২), কক্সবাজার মহেশখালী হোয়ানোক ধলঘাটপাড়া নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. সাকের উল্লাহ (৩২), একই এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে আজিজুল হক (২৮), মো. আবুর ছেলে আজিম উদ্দিন (২১) এবং নওগাঁ মাস্টারপাড়া এলাকার বশির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে জামিল আক্তার (৪৩)।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর ডায়মন্ড ঘাট এলাকায় নোঙর করা ছিল স্ক্র্যাপ আমদানি করা জাহাজ এমভি টিটু ১৬। গত শুক্রবার রাতে টহলে বের হয় নৌ পুলিশ। এসময় তারা দেখতে পান জাহাজ থেকে বেশকিছু স্ক্র্যাপ ইঞ্জিনচালিত একটি সাম্পানে নামানো হচ্ছে। পরে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা সদুত্তর দিতে না পরায় নৌ পুলিশের সন্দেহ হয়। এ সময় চুরির কাজে জড়িত জাহাজের মাস্টার, সুকানীসহ ৭ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসার পাশে চোরাই বাণিজ্য, যুবকের কাছে হাজার হাজার লিটার ডিজেল—অকটেন

এ বিষয়ে নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিদেশি আমদানি স্ক্র্যাপ চুরির দায়ে এমভি টিটু ১৬ নামের এক জাহাজ থেকে মাস্টার, সুকানীসহ ৭ জনকে আটক করেছি। চুরির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে তানিশা এন্টারপ্রাইজ নামের লাইটারেজ থেকে পাইপ দিয়ে ভাউজারে তেল চুরি চলছিল। এসময় চোরচক্রের ১২ জনকে হাতেনাতে আটক করে নৌ পুলিশ। এদের মধ্যে পাঁচজন শ্রমিকের ও সাতজন লাইটারেজ জাহাজের কর্মী। পরে তাদের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা করে পুলিশ।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!