খালপাড়ে কাদামাটিতে পড়ে ছিলেন ‘নিখোঁজ’ মেম্বার, পেটে-পিঠে ছুরিকাঘাত

নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর মিরসরাইয়ের শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ছয়বারের মেম্বার (সাবেক) আবুল কাশেমকে খালপাড় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর রাত ১০টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হন। ফোনেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খুঁজতে গিয়ে রাত ১০টার দিকে স্থানীয় মঘাদিয়া খালের পাশে কাদামাটির মধ্যে ছুরিকাহত অবস্থায় তাঁকে পান। সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে তাঁকে মিরসরাই উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে অবস্থা অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন: শহর থেকে ছুরি কিনে মিরসরাইয়ে গিয়ে বাবা—মা—ভাইকে হত্যা করে ঘরের বড় ছেলে

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘বুধবার রাতে ঘটনা ঘটেছে। আবুল কাশেম ইউনিয়নের ৬ বারের সাবেক সদস্য। চমেক হাসপাতালে তাঁর অপারেশন চলছে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বলেন, আমার স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চমেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক। তার পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় শাহেরখালী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেনের বিরোধ চলছিল। আমার ধারণা এ ঘটনা বেলালের নির্দেশে হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাতের আঁধারে সাগরে ছুড়ে ফেলা হলো যুবককে, ঘটনা চাপা দিতে মরিয়া ৩ ইউপি মেম্বার

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, কাশেম সাহেব গত নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষও ছিল না। তার সঙ্গে কোনো সময় আমার বিরোধ ছিল না। হয়ত আমার কোনো বিরোধীপক্ষ তার পরিবারকে ভুল বোঝাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. অলি উল্লাহ বলেন, এ ধরনের ঘটনা পুলিশকে কেউ জানায়নি। তবে আমরা দ্রুত খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।

আজিজ/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!