চট্টগ্রামে ‘সুন্দরী’ রমণীর ফাঁদ, প্রলোভনেই সর্বনাশ

প্রথমে করা হয় টার্গেট। এরপর চোখের ইশারা বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে টার্গেট ব্যক্তিকে কুপ্রস্তাব দেন চক্রের ‘সুন্দরী নারী’। এতে প্রলুব্ধ হলে নির্জন স্থানে যাওয়ার কথা বলে তোলা হয় অটোরিকশায়। মাঝপথে চক্রের অন্য সদস্যরাও কৌশলে গাড়িতে উঠে পরে। এরপর চক্রের সবাই মিলে ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে মারধর শুরু করে, দাবি করে চাঁদা। একপর্যায়ে বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে চাঁদার টাকা আদায় করা হয়। আর এভাবেই নারীকে ফাঁদ বানিয়ে চট্টগ্রামে কৌশলে চাঁদাবাজি করছিল একটি চক্র।

অভিন্ন দুটি অপহরণের ঘটনায় মো. সজিব (২২), সাকিব (২১) ও সুমন (২০) নামে ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নগরের পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত সেই নারী এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আরও পড়ুন: ৩ জনের ‘অপহরণ চক্রে’ দুনারীর ‘টোপ’, ফাঁদে পড়লেই সর্বনাশ

পাঁচলাইশ থানা সূত্রে জানা গেছে, নগরে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নারীদের ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে অপহরণ এবং জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ভিকটিমদের কেউ আইনি প্রতিকার চাইতেন না।

তবে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নারীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে নগরের পাঁচলাইশ হিলভিউ ২ নম্বর রোড এলাকা থেকে মো. মহসিন (৩৭) নামে এক যুবককে অপহরণ করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে চক্রের সদস্যরা। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর মুরাদপুর থেকে খোকা মারমা (৩২) নামে আরেক যুবককে একই কায়দায় অপরহরণ করে চক্রটি।

এই দুটি ঘটনায় ভুক্তভোগীরা পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার তিনজনকে ভুক্তভোগীরা শনাক্ত করলে বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে পাঁচলাইশ থানায় তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এখন পর্যন্ত চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের নাম জানা গেছে। চক্রের নারী সদস্যসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!