দূর হলো সিনেপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ, স্টার সিনেপ্লেক্সের যুগে চট্টগ্রাম

সুখ-দুঃখ, রাগ-অভিমান আর আশা-হতাশার সঙ্গে মানুষের আবেগের মেলবন্ধন ঘটায় সিনেমা। সিনেমা মানুষকে হাসায়, সিনেমা মানুষকে কাঁদায়, আবার সিনেমাই মানুষকে স্বপ্ন দেখায়। বিনোদনের অন্যতম এই উৎসটি সবাই মিলে একসঙ্গে উপভোগের অন্যতম স্থান হলো সিনেমা হল।

সিনেমাপ্রেমী মানুষের জন্য এমন প্রাণবন্ত বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে এবার চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করেছে দেশের জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) নগরের চকবাজারে অবস্থিত বালি আর্কেড শপিংমলের দশম তলায় জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় শো মোশন লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টার সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনি এবং দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মোক্তাদির।

বাংলাদেশের আধুনিকতম শপিংমল স্টার সিনেপ্লেক্স ২০০৪ সালের ৯ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে প্রথম যাত্রা শুরু করে। ২০১৬ সালে কক্সবাজারে তাদের প্রথম থিয়েটার চালু করে স্টার সিনেপ্লেক্স। এছাড়া ঢাকায় রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের আরও ৪টি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল।

এবার সিনেমাপ্রেমীদের বিনোদনের উপলক্ষ নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের ষষ্ঠ মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল চালু করল চট্টগ্রামে। স্টার সিনেপ্লেক্সের এ শাখায় রয়েছে ৩টি হল। ১ নম্বর হলের আসন সংখ্যা ৮৬টি, ২ নম্বর হলে ১৯৬টি এবং ৩ নম্বর হলের আসন সংখ্যা ১২৫টি।

স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, এখানে আমাদের এই মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলে ৩টি স্ক্রিন রয়েছে। দর্শকদের জন্য রয়েছে ৪৮০টি আসন। সিনেমা হলে বসে মুভি দেখে যে বিনোদন পাওয়া যায় তা ওটিটি প্লাটফর্মে পাওয়া যায় না। ওটিটির চেয়ে বেশি বেশি সিনেমা হল তৈরি হওয়া দরকার। আমি ডিরেক্টরদের প্রতি অনুরোধ জানাই, উনারা যেন ওটিটির চেয়ে সিনেমা হলের জন্য সিনেমা বানায়। যথাযথ হল তৈরি হলে ১০/২০ কোটি টাকার মুভি অহরহ তৈরি হবে এবং সে টাকা উঠেও আসবে। এখন আমরা ৪টি সিনেমা নিয়ে এগুচ্ছি। আগামী বছর এসবের অনেক দূর অগ্রগতি সম্পন্ন হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংস্কৃতি মানুষের চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটায়। আমি কলেজ লাইফ থেকেই সাংস্কৃতিক জগতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। নাট্যদলের সাথে যুক্ত হয়ে অনেক কাজ করেছি। আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক সিনেমা ভূমিকা রেখেছে। মানুষকে নির্মল আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি একইসঙ্গে দেশ গঠন করার ক্ষেত্রেও সিনেমা ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, বাংলা সিনেমা অনেক চড়াই-উতরায় পেরিয়েছে। আমরা অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সিনেমা শিল্প অনেকদূর এগিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে সুষ্ঠু-সুন্দর বিনোদনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করব, আগামীতে বাংলাদেশে ১০০টি সিনেপ্লেক্স হবে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও বালি আর্কেডের পরিচালক সোলায়মান আলম শেঠ, প্রধান নির্বাহী আফতাব আলম শেঠ এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!