দুর্গাপূজায় বদলে গেছে দক্ষিণ নালাপাড়ার পুরনো চেহারা, থাকছে হীরক জয়ন্তীর জমকালো আয়োজন

আলপনায় সেজেছে পুরো এলাকা। পুজোমণ্ডপ থেকে শুরু হওয়া আলোর খেলা বিস্তৃত হয়েছে মূল সড়ক পর্যন্ত। পাহাড়িদের জীবনধারা নিয়ে তৈরি হয়েছে এবারের পুজোর থিম। এর সঙ্গে রয়েছে আরও কত শত আয়োজন। এবার যে এ মণ্ডপে হবে ৭৫তম পুজো; হীরক জয়ন্তী!

বলছিলাম দক্ষিণ নালাপাড়ার পুজোমণ্ডপের কথা। এবার নগরের ২৮৩ মণ্ডপের মধ্যে শুধু দক্ষিণ নালাপাড়ায় হবে হীরক জয়ন্তীর আয়োজন।

সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ নালাপাড়া দুর্গোৎসব পূজা উদযাপন কমিটির মণ্ডপের মূল সড়ক থেকেই আলোকসজ্জা করা হয়েছে। মন্দিরের ভেতরে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। শুরুতেই দেখা মিলল নানা উপজাতির বাহারি মূর্তি। দেবী দূর্গা ও তার সঙ্গী-সাথীদের সাজানো হয়েছে বাঁশের তৈরি অলংকারে।

এদিকে ৭৫ বছর উদযাপনে হীরক জয়ন্তীর প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকছে থিম, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বস্ত্র বিতরণ ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাংসদ এমএ লতিফ।

দক্ষিণ নালাপাড়া দুর্গোৎসব পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাইন অসিত সেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ৭৫ বছরে পা দিল দক্ষিণ নালাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শারদীয় দুর্গোৎসব। তাই উদযাপন হবে হীরক জয়ন্তী। এই হীরক জয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে থাকছে বিশেষ আয়োজন। এবার পুজোর প্রধান আকর্ষণ হলো থিম। এই থিম সাজানো হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। নাম দেওয়া হয়েছে পার্বন, অর্থাৎ উৎসব। থিম সাজানো হয়েছে পাহাড়িদের জীবনধারা নিয়ে।

জানা যায়, ১৯৪৭ সালে নোয়াখালীর সন্তান ক্ষতিস বসু দক্ষিণ নালাপাড়ায় প্রথম শারদীয় দুর্গাপূজা করেন। এই পুজো ওই এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ৭৫ বছর পূর্তিতে আয়োজন করা হয়েছে হীরক জয়ন্তী।

দক্ষিণ নালাপাড়া পুজা উদযাপন কমিটির এবারের স্লোগান— ঢাকের তালে ৭৫। ষষ্ঠী পুজোয় দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা, বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা। পুরো দক্ষিণ নালাপাড়ায় করা হবে আলপনা।

পুজার আর্থিক সহযোগিতায় রয়েছে নিপ্পন পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিমা অলংকরণে রিমন দে বাবু, মাতৃরুপায়নে উত্তম পাল, ভাবনা ও সৃজনে বিশ্বজিত আইচ।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!