হঠাৎ বন্ধ সম্মানী ভাতা—দিন কাটে না মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

কর্ণফুলীতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুর রশিদের সম্মানী ভাতা। এতে ভীষণ অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে তার পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার ফকিরনীর হাট শাহমীরপুর গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত তমিজ গোলালের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুর রশিদ। ১৯৯৮ সালের ৪ মে তিনি মারা যান। এরপর নিয়মিত ভাতা পেলেও ২০২০ সালের পর থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তার সম্মানী ভাতা।

আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্ম জানবে মুক্তিযোদ্ধা মুছার বীরত্বের কথা, এগিয়ে এল জেলা প্রশাসন

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুর রশিদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম।

আনোয়ারা বেগম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমার স্বামী ১৯৯৮ সালের ৪ মে মারা যান। এরপর আমার নামে নিয়মিত সম্মানী ভাতা আসত। সেই টাকা দিয়ে ১২ জনের সংসার কোনোরকম চালিয়ে নিতাম। ২০২০ সালের পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় সম্মানী ভাতা। এরপর থেকে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, আমার বড় ছেলে মো. হোসেন বালুমহালে কাজ করত। একটি দুর্ঘটনার পর সে কর্মক্ষম হয়ে পড়ে। এ কারণে পরিবার নিয়ে অর্থকষ্টে ভুগছি।

আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম—মহেশখালীর পৌর মেয়র জেলে

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই। কারণ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) দেখভাল করেন। তাই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে আশাকরি সমস্যার সমাধান হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুর রশিদের বড় ছেলে মো. হোসেন জানান, বাবার সম্মানী ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের পরিবারে আর্থিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কারণ আমি নিজেই দুর্ঘটনায় পড়ে কর্মক্ষম হয়ে পরিবারের বোঝা হয়ে আছি। তাই সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি সম্মানী ভাতাটি পুনরায় চালু করে আমাদের পরিবারকে রক্ষা করার।

ইমরান/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!