দাদীকে মেরে রক্ত ঝরিয়ে মায়ের সঙ্গে আসামি হলো ২ নাতি

ষাটোর্ধ্ব দাদীকে বেধড়ক পিটিয়ে মামলার আসামি হতে হলো দুই নাতি ও পুত্রবধূকে।

মহানগর আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী আলতাজ বেগম (৬৭)।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে দ্বিতীয় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট ওলি উল্লাহর আদালত মামলা গ্রহণ করে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আজমুল হুদা।

আরও পড়ুন: বোনের পথ আটকাল বখাটের দল, বাঁচাতে গিয়ে রক্তাক্ত ভাই—ভিডিও ভাইরাল

মামলায় আসামিরা হলেন- পাহাড়তলী মধ্যম সড়াইপাড়া হাফিজ কমিশনার বাড়ির মো. শাহাজাহানের ছোট ছেলে মো. টিপু (২২), বড় ছেলে মো. সাজ্জাদ (২৫) ও শাহাজাহানের স্ত্রী শাহনাজ (৪৫)। বৃদ্ধা আলতাজ বেগম টিপু-সাজ্জাদের দাদী ও শাহনাজের শাশুড়ি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, টিপু, সাজ্জাদ ও তাদের মা শাহনাজ বিভিন্ন সময় বৃদ্ধা আলতাজ বেগমকে গালমন্দসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। গত ১ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে টিপু, সাজ্জাদ ও তাদের মা বৃদ্ধাকে গালমন্দ করেন। তাদের এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে বারণ করায় টিপু তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বৃদ্ধাকে মারধর শুরু করেন। এতে বৃদ্ধার দুই বাহুতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। পরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে  সাজ্জাদ এসে নাকে-মুখে লাথি মারেন। এসময় বৃদ্ধার রক্তপাত শুরু হয়।

বৃদ্ধার চিৎকারে ছোট ছেলে তাজউদ্দিন আহমেদ এগিয়ে এলে বৃদ্ধার বড় পুত্রবধূ শাহনাজ হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তাজউদ্দিনের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন। তাজউদ্দিন বাঁচতে গিয়ে সরে যাওয়ার সময় তার গাল কেটে যায়। আহত বৃদ্ধা ও ছোট ছেলের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহনাজ ইট ছুঁড়লে তাজউদ্দিনের কানে লেগে রক্ত বের হতে থাকে।

পরে উপস্থিত এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরদিন তাজউদ্দিন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা মামলা গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। পরে বৃদ্ধার উপস্থিতিতে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়

এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী আজমুল হুদা বলেন, পাহাড়তলী থানায় মামলা গ্রহণ না করায় আলতাজ বেগম আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা করেছেন।  বিচারক থানার অফিসার ইনজার্জকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!