দক্ষিণ কাট্টলিতে টাকা ছাড়া মেলে না ওয়ারিশ সনদ, অভিযোগ গেল মেয়রের কাছে

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ কাট্টলি ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইলের বিরুদ্ধে ওয়ারিশ সনদ নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেছে। গত ১৪ আগস্ট দক্ষিণ কাট্টলি ওয়ার্ডের আব্দুল গনি সদ্দার বাড়ি স্থানীয় বাসিন্দা ছলিমা খাতুন এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিমের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট তৎকালীন কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী থেকে একটি ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করেন ছলিমা বেগম। কিন্তু এ সনদ হালনাগাদ করতে গেলে বাধে বিপত্তি। সনদ হালনাগাদ করতে গেলে কাউন্সিলরের মনোনীত লোককে দেখিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই লোকের কাছে গেলে তারা চাঁদা দাবি করে। এ বিষয়টি কাউন্সিলরকে জানালে তিনি জানিয়ে দেন, তার লোককে টাকা দিতে হবে। তা নাহলে এ সনদ হালনাগাদ হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী ছলিমা খাতুন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘রফিক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ঝামেলা ছিল। রফিক আবার কাউন্সিলর ইসমাইলের লোক। আমি ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে ইকবাল নামের এক ছেলে আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দেওয়ার পর আমাকে জানায়, তিনদিন পর এসে ওয়ারিশ সনদ নেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনদিন পরে গেলে ইকবাল জানায়, কাউন্সিলর আপনাকে ওয়ারিশ সনদ দিতে নিষেধ করেছে। পরে কাউন্সিলরের কাছে গেলেও তিনি একই কথা বলেন। তাই বাধ্য হয়েই মেয়রের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের উপজেলার শিশুরাও শিগগির পাবে করোনার টিকা

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার আগে আমি আমার বিশেষ একটি টিমকে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাঠাই। যে মহিলা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি আমার কাছে আসেননি। অযথা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন। এমন টাকা আদায়ের কোনো ঘটনা আমার অফিসে ঘটেনি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এক স্থানীয় ব্যক্তি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কাউন্সিলর অফিসে চলছে রামরাজত্ব। যে যার ইচ্ছেমতো লুটে-পুটে খাচ্ছে। কাউন্সিলরের গুণ্ডা বাহিনীর কাছে এলাকার মানুষ একপ্রকার জিন্মি হয়ে আছে। এখনই এই গুণ্ডা বাহিনীর লাগাম টানা দরকার।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!