রাশিয়া থেকে এলো জ্বালানি তেলের নমুনা, পরীক্ষার পর আমদানির সিদ্ধান্ত

রাশিয়া থেকে দেশে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এর মধ্যে দেশটির জ্বালানি তেলের নমুনা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছছে। এ নমুনা দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এরপর দেশটি থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন : আবার বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

গত মে মাসে বাংলাদেশকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু বাংলাদেশ পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে আগ্রহী। সম্প্রতি রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানি রোজনেট বাংলাদেশকে পরিশোধিত তেল আমদানির প্রস্তাব দেয়। এর মধ্যে দুদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠকও হয়। তবে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

জানা যায়, রাশিয়া বাংলাদেশকে যে পরিশোধিত তেল আমদানির কথা বলছে তা পুরোপুরি পরিশোধিত নয়। এতে সালফারের পরিমাণ বেশি রয়েছে। দেশে আমদানির পর এ তেল আবারও পরিশোধন করতে হবে। ফলে সাশ্রয়ের পরিবর্তে খরচ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাশিয়া থেকে আসা জ্বালানি তেলের নমুনা পরীক্ষা করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা তেলের মান, ব্যবহারের উপযোগিতা, ক্রয়মূল্য বা ট্রান্সপোর্টেশন খরচসহ অন্যান্য বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিপিসি চেয়ারম্যান (সচিব) এবিএম আজাদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নানা বিষয়াদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলের যে নমুনা এসেছে সেটা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হলে বুঝতে পারব এটা ক্রুড অয়েল হিসেবে চলে কিনা। রাশিয়ার জ্বালানি তেলের এ নমুনা আমরা আনিনি, একটা সাপ্লাইয়ার এনেছে। তবে এটা আমরা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখব, তারপর পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আমাদের মতামত জানাব।

জেএন/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!