‘চাঁদা’ দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা সমিতিতে ঢুকতে না পেরে ‘চালক’ খুন

সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির চাঁদা না দেওয়ায় খুন হন অটোরিকশা চালক একরাম হোসেন (২০)। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উদ্ধার করা হয়েছে খুনের সময় ব্যবহার করা ছুরিও।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ তেলী বাজারের মৃত আজগর আলীর ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (২০) প্রকাশ সাকিব, উত্তর মাহমুদাবাদ সমজি মোল্লাবাড়ির মো. রুহুল আমিনের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (২৪) প্রকাশ রানা, সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাজুল ইসলামের ছেলে জাহেদ হোসেন (২০), মধ্যম মহাদেবপুর গ্রামের মো. জাফরের ছেলে ও সীতাকুণ্ড সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আহাম্মদ (৪০)।

আরও পড়ুন: মালিকের ছেলেকে মাঝসাগরে ফেলে খুন, ৪৫ বছর পর ৭ লোভীর দণ্ড

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সামনে একটি অটোরিকশার গতিরোধ করে গ্রেপ্তাররা। তারা অটোরিকশা চালক মো. একরাম হোসেনকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর নিহত একরামের ভাই নুরুল হুদা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় ছায়াতদন্ত শুরু করে পিবিআই। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার নূর আহমদ ও জাহেদ জানান— ঘটনার দিন অটোরিকশা চালক একরামকে বলা হয়, সীতাকুণ্ড-বাড়বকুণ্ড রুটে গাড়ি চালাতে হলে ৫ হাজার টাকা দিয়ে সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। কিন্তু একরাম তাদের কথায় রাজি হননি। এর জের ধরেই চারজন মিলে পরিকল্পিতভাবে একরামকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডে তারা খুনের কথা স্বীকার করেন। আজ (শনিবার) একটি মহড়ার মাধ্যমে খুনিরা সেদিনের ঘটনার বর্ণনাও করেন। পরে ঘটনাস্থলের পাশের একটি পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয় ।

এসএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!