ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা খেল আজিজনগরের ‘প্রতারক’ কালা জাহাঙ্গীর

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক আলোকিত চট্টগ্রামের লামা প্রতিনিধিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমানে অপপ্রচার। এ অবস্থায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. ইলিয়াছ সানি।

রোববার (১৯ জুন) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনি এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এইচএম আবু জাহাঙ্গীর ও সাংবাদিক পারভেজ আহমেদ নামে দুটি ফেসবুক আইডি থেকে সাংবাদিক ইলিয়াছ সানির ছবি পোস্ট করে ‘বার্মায় সাংবাদিক’ এবং ‘ইয়াবা মামলার আসামি’ লিখে আপত্তিকর মিথ্যা পোস্ট দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আসামিরা সুপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক ইলিয়াছ সানিকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপণ্ন করতে বিভিন্ন সময়ে নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর পোস্ট দেন। পরে তিনি মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। তাই তিনি বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: সম্পাদকের নামও জানেন না, অথচ পাহাড়ে চাঁদা নেন সাংবাদিক পরিচয়ে

তিনি বলেন, আদালত শুনানি শেষে সিআইডিকে (বান্দরবান) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, অভিযুক্ত কালা জাহাঙ্গীর লামার আজিজনগর ইউপির চেয়ারম্যানপাড়ার বাসিন্দা মৃত বদিউল আলেমের ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে বহুল প্রচারিত দৈনিক আলোকিত চট্টগ্রাম নাম দিয়ে লামা, আজিজনগর, লোহাগাড়া ও চকরিয়া-কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করে আসছিলেন কালা জাহাঙ্গীর। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।

এর আগে পটিয়ায় কালের কণ্ঠের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদা চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কালা জাহাঙ্গীর। তৎকালীন থানার ভারপ্রাপ্ত (তদন্ত) কর্মকর্তার ভাষ্যমতে জানা যায়, নিজের অনৈতিক সুবিধা ভোগের আশায় কাঁধে ক্যামেরার ব্যাগ ও হাতে পত্রিকা নিয়ে কখনো সাজতেন সাংবাদিক, কখনো গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আবার কখনো মানবাধিকার কর্মী। কোনো কোনো জায়গায় পুলিশের সোর্সও। সবমিলিয়ে তাঁর প্রতারণার রাজত্ব ছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামজুড়ে।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!