টানেল—সংযোগ সড়কে দক্ষিণ চট্টগ্রামে দখিনা হাওয়া

আর মাত্র কয়েক মাস পর চালু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দেশের প্রথম কর্ণফুলী (বঙ্গবন্ধু) টানেল।

ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে টানেলের দ্বিতীয় টিউবের খননকাজ। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে বাড়তি জনবল নিয়োগসহ সংযুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি।

টানেল খুলে দেওয়া হলে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ যানবাহন চলাচল করবে। যানবাহনের চাপ সামাল দিতেই টানেল ঘিরে গড়ে তোলা হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক।

ইতোমধ্যে ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ।

জানা যায়, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল ও চায়না ইকোনমিক জোন ঘিরে বদলে যাওয়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও আসছে বড় পরিবর্তন। নিরাপদ ও ব্যয়সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়কের এই প্রকল্পের কাজ চলছে  দ্রুতগতিতে। উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে তৈলারদ্বীপ সরকারহাট পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে দখলে রাখা শতাধিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছে সওজ বিভাগ।

আরও পড়ুন : কর্ণফুলীর চরেই ৪৪ সরকারি অফিস হচ্ছে ১১০ একর জায়গার ওপর

বর্তমানে পুরোদমে চলছে সড়কে তৈরির কাজ। একইসঙ্গে চলছে ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিক্স লেনের ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ।

টানেলের দুই প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ সড়ক রয়েছে। ফ্লাইওভার রয়েছে ৭০০ মিটার। ফ্লাইওভারের কাজ শেষে এখন চলছে সড়কের কাজ। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন টানেলে দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা।

সওজ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারার কালাবিবির দীঘির মোড় পর্যন্ত ৮.১ কিলোমিটার  সিক্স লেন এবং কালাবিবির দিঘীর মোড় থেকে আনোয়ারা উপজেলা সদর পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার দুই লেন সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। মূল সড়কে ব্যয় হবে ২৬৭ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি টাকা এবং বাকি ১১৩ কোটি টাকা বিবিধ ক্ষতিপূরণে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এনডিএ’ এই কাজ করছে। প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়কের ৮ কিলোমিটারে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে ১৬টি কালভার্ট নির্মাণের কাজও। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের আগেই সিক্স লেন সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে  সওজ বিভাগ।

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, টানেলের প্রথম ও দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। টানেলের ভেতর থেকে বোরিং মেশিনটা বের করতে সময় লাগবে চার মাস। এখন সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। আশাকরি আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই সব কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

ইমরান/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!