১ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগরের কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের তহসিলদার শাহাদাত হোসেন ও অফিস সহায়ক এমদাদকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় সুমন চৌধুরী নামের একজন পলাতক রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের নির্দেশে তহসিলদার মো. শাহাদাত হোসেন (৪৫) ও অফিস সহায়ক এমদাদকে প্রায় ২৫ লাখ ৫৭ হাজার আত্মসাতের অভিযোগে আটক করা হয়। পরে শাহাদাতকে পুলিশকে সোর্পদ করা হয় এবং এমদাদকে দুদকের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জমি দখল থেকে অর্থ আত্মসাৎ—চেয়ারম্যান কাজলের সর্বাঙ্গে দাগ
কর্ণফুলী ভূমি অফিসের আওতাধীন শিকলবাহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত সুমন চৌধুরী চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন করের ৩০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। সুমন চৌধুরী এর আগে রাঙ্গুনিয়া ভূমি অফিসের আওতাধীন ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকার সময়ও ভূমি উন্নয়ন করের প্রায় ৭১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন।
অন্যদিকে পলাতক সুমন চৌধুরী সরকারি কোষাগারে ওই অর্থ জমা না দিয়ে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ১ কোটি ২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যেখানেই দুর্নীতির বিষয়টি পাওয়া যাচ্ছে ও যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এলএ শাখায় দুর্নীতি করার কারণে দুই দালালসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতার দাপটে’ বেপরোয়া—দুদকের মামলার জালে ‘কাউন্সিলর মানিক’
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ইতোপূর্বে ৫ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনেককে বরখাস্ত ও দুর্গম এলাকায় বদলি করা হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরবি