‘টাকার খেলা’—চট্টগ্রাম কাস্টমসে চাকরি পেতে জালিয়াতিতে ২৩ প্রার্থী

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সিপাহী পদে লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার পর তাদের জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ১৮ জন ও বুধবার (২৮ডিসেম্বর) ৫ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, ১০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করেছেন।

এ বিষয়ে পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তার ২৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমসের চোখে ধুলো দিতে গিয়ে ১ কনটেইনার বিদেশি মদ ধরা পড়ল বন্দরে

জানা গেছে, কাস্টমস সিপাহীর ৯৮টি পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী অংশ নেন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন। এ সময় জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে অভিযুক্ত ২৩ জনকে আটক করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নানা আইনি জটিলতায় পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়নি। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মূল প্রার্থীর বদলে অন্যদের ছবি দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় একটি চক্র। মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার লেখার গরমিল পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, আটক ২৩ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের হাতের লেখায় গরমিল পাওয়া যায়। এছাড়া লিখিত পরীক্ষার খাতায় যেসব প্রশ্নের উত্তর লেখা হয়েছে মৌখিক পরীক্ষায় সেই প্রশ্নগুলো করলে তারা উত্তর দিতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যদের দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান বলেন, লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় নিয়োগ কমিটি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!