‘টাকার খেলা’—আওয়ামী লীগের পদ পেতে মরিয়া অস্ত্র-ইয়াবার ‘দাগী’ দিদারুল

৮ মামলার আসামি তিনি। চাঁদাবাজি, ডাকাতি থেকে শুরু করে রয়েছে অস্ত্র ও ইয়াবা বাণিজ্যের অভিযোগ। পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে আটকও হয়েছেন একাধিকবার। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিই হতে চাইছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক!

৮ মামলার এই আসামির নাম দিদারুল আলম (৪৫)। কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে তিনি এখন মরিয়া।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ বলছে, মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রবাজ, ডাকাত কিংবা চাঁদাবাজ কেউ প্রার্থী হওয়া তো দূরের কথা, সম্মেলনে মঞ্চের আশপাশেও ঘেঁষতে পারবে না।

আগামী ১২ নভেম্বর ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন সদর উপজেলার খরুলিয়ার পূর্ব মোক্তারকুল এলাকার দানু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে দিদারুলের নামে মামলা রয়েছে অন্তত ৮টি। এর মধ্যে ২টি মাদক মামলা, ১টি অস্ত্র, ১টি ডাকাতি, ১টি চাঁদাবাজি ও ৩টি মারামারির মামলা। এছাড়া জিডিসহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ।

ইয়াবা নিয়ে একাধিকবার ধরাও পড়েছেন দিদারুল। বিভিন্ন মামলায় জেলও খেটেছেন একাধিকবার।

অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজার শহর ও সদরের একজন চিহ্নিত অপরাধী দিদারুল। অবৈধভাবে তিনি গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। মূলত নিজেকে নিরাপদ রাখতেই তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে উঠেপড়ে লেগেছেন। আগামী ১২ নভেম্বর ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিদারুল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমাকে ষড়যন্ত্র করে দুবার ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছিল। আর যেসব মামলা রয়েছে সব মামলায় আমি জামিনে আছি এবং মামলাগুলো বিচারাধীন। আদালতে প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ আমাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বা অপরাধী বলতে পারেন না। মূলত সম্মেলনের আগে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে আমি সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাহামুদুল করিম মাদু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার ঘোষণা— দলে কোনো চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ ও ইয়াবা ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। সুতরাং যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাবে তারা কোনোভাবেই প্রার্থী হতে পারবে না।

একই প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মাদক ব্যবাসায়ী, অস্ত্রবাজ, ডাকাত কিংবা চাঁদাবাজরা প্রার্থী হওয়া তো দূরের কথা সম্মেলনে মঞ্চের আশেপাশেও ঘেঁষতে পারবে না। আওয়ামী লীগ পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের সংগঠন। সেখানে কোনো অপরাধীর স্থান নেই।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মাদক নির্মূলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক মামলার আসামি সম্মেলনে প্রার্থী হবে তা কখনো মেনে নেওয়া হবে না।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!