জেলে থাকতে হবে আত্মসমর্পণ করা ১০১ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে

কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মসমর্পণ করা ১০১ জন ইয়াবা কারবারির প্রত্যেককে ১ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। তবে অস্ত্র মামলায় ১০১ জনের সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল  এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ের দিন কারাগারে থাকা সব আসামিকে সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মামলার ১৭ আসামি কারাগারে থাকলেও পলাতক ৮৩ জন। এদের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিও রয়েছেন।

আরও পড়ুন : মিয়ানমারের নাগরিক ২ বোন মিলেই চট্টগ্রামে চালাত ইয়াবার বড় ব্যবসা

প্রভাবশালী ব্যক্তিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির চার ভাই আব্দুল আমিন, আব্দুর শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল রহমান, ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু, চাচাতো ভাই মো. আলম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ ও তাঁর বড় ভাই আব্দুর রহমান, বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদের ছেলে দিদার মিয়া, টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এনামুল হক এনাম মেম্বার।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একদল ইয়াবা কারবারি অবস্থান নেওয়ার খবরে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের কাছে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। পরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিনই তাদের আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা  করা হয়।

থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে। মামলার দিনই আদালতের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে মামলার বিচার চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মো. রাসেল নামে এক আসামি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে ১০১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

পরে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল সব আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলার চার্জগঠন করেন। গত ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!