একদিনে একসঙ্গে এত মানুষকে জমিসহ ঘর দেওয়ার নজির কোথাও নেই : জেলা প্রশাসক মমিনুর

চট্টগ্রামে তৃতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ২১৬ জনকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে জমিসহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে মুজিববর্ষের ঘর।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় আনোয়ারা উপজেলার ৬ নম্বর বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।

আরও পড়ুন: জেলা প্রশাসনের এক সিদ্ধান্তে ঈদের বাড়তি আনন্দ পাবে ২৫০০ পরিবার

জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রথম উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর কন্যা দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থান নিশ্চিতের ঘোষণা দেন। সরকারি উদ্যোগে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদানের এ নজির পৃথিবীর বুকে অনন্য। একসঙ্গে একইদিনে এতসংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে জমিসহ ঘর দেওয়ার নজির কোথাও নেই।

তিনি বলেন, ‘মুজিবশতবর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১২০টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীদের স্থাপনার নাম অপসারণের দাবি—জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মতবিনিময়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম

জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ৮৫টি, কর্ণফুলী উপজেলায় ১০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ১৩০টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ৪৫টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ৬৫টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ২৮টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৪৫টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১২০টি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৭০টি, রাউজান উপজেলায় ৫৬টি, হাটহাজারী উপজেলায় ২৪টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ৩৯০টি, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ২৮টি, মিরসরাই উপজেলায় ২০টিসহ মোট ১ হাজার ২১৬টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দেওয়া হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. উল্লাহ মারুফ।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!