জুনেই চট্টগ্রাম বন্দরের ১০৮ বিলাসবহুল গাড়ির চূড়ান্ত নিলাম

চট্টগ্রাম বন্দরে কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় বিভিন্ন সময়ে আসা বিএমডব্লিউ, মার্সডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্লুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগোয়ার, লেক্সাস ও মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল ১০৮টি গাড়ির চূড়ান্ত নিলাম জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৫ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনার মো. ফখরুল আলম। 

কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, নিলামে তুলতে যাওয়া এসব বিলাসবহুল গাড়ি প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটকরা বিশেষ সুবিধায় এনেছিলেন। পরে তারা এসব গাড়ি বন্দর থেকে খালাস করেননি। তাই আইনানুযায়ী এসব গাড়ি নিলামে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমদানি নীতি অনুযায়ী বয়স বেশি হওয়ায় এসব গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ, সেহেতু বিষয়টি আমরা এনবিআরকে জানাই। এনবিআ চেয়ারম্যা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করেন এবং গাড়িগুলো নিলামের ছাড়পত্র দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের ‘কর্তা’ সেজে পকেট কেটেছেন অনেকের, দাপিয়ে বেড়াতেন বন্দরে

তিনি বলেন, আগামী ২৯ মে নিলামের ক্যাটালগ প্রকাশ করা হবে। ১ জুন আগ্রহী নিলাম ডাককারীদের ই-অকশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দরপত্র জমার দিন নির্ধারিত হয়েছে ১২ ও ১৩ জুন। পে-অর্ডারের হার্ডকপি জমা দিতে হবে ১৬ জুন। এছাড়া আগামী ১৯ জুন মোংলা, সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও কাস্টম হাউসে রাখা দরপত্র বাক্স খোলা হবে এবং ২৩ ও ২৪ জুন চূড়ান্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, গত নিলামে তিনটি গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। যৌক্তিক দামে ভালো গাড়ি কিনতে পারায় ক্রেতারা সন্তুষ্ট। এবার ম্যানুয়েল বা ই-অকশন দুই পদ্ধতিতে ১০৮টি বিলাসবহুল গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ৮৩টি গাড়ির সিপি পেয়েছি। তাই ক্রয়, খালাস বা রেজিস্ট্রেশনে সমস্যা নেই। এছাড়া আরও কিছু গাড়ির সিপি আগেই পেয়েছিলাম এবং কিছু গাড়ির জন্য সিপি লাগবে না। এই অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা যা গতকাল পর্যন্ত ৫১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় এবছর আমরা প্রায় ২০ শতাংশ এগিয়ে রয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইজেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!