জাহাজ থেকে পড়ে কিংবা লোহার আঘাতে মারা যাননি সুজন

কবির স্টিল লিমিটেডে সম্প্রতি এক শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। কেউ বলছে, জাহাজ থেকে পড়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ বলছে, লোহার পাতের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। এসব বিভ্রান্তি দূর করতে ওই শ্রমিকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ তুলে ধরেছে কবির স্টিল লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইয়ার্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক মো. আরিফ হোসেন সুজন গত ১ ফেরুয়ারি রাত ১টার দিকে (চা বিরতির সময়) ইয়ার্ডের কাটিং জোন-০৩ এর ফ্লোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকেন। সেফটি পরিদর্শক, ফোরম্যান ও অন্যান্য শ্রমিকরা মিলে তৎক্ষণাৎ তাকে ইয়ার্ডের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়ার্ডের প্রাথমিক অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মৃত্যুর সম্ভ্যাব্য কারণ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া। এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অনুসন্ধান চলছে।

আরও পড়ুন: সেই বিশাল জাহাজ কাটা শুরু, পূর্ণরূপে ফেরার প্রতীক্ষায় পারকি

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ বাবদ সমস্ত পাওনা প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান। মানবিক বিবেচনায় মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে ভরণপোষণের জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মারা যাওয়া শ্রমিকের ছোট ভাই মো. ইসমাইল হোসেনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অথচ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদটি যথাযথভাবে প্রকাশ হয়নি। কোথাও লেখা হয়েছে, জাহাজ থেকে পড়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আবার কোথাও লেখা হয়েছে, লোহার পাতের আঘাতে শ্রমিক সুজন মারা গেছেন। যদি আঘাতের কারণেই শ্রমিক সুজনের মৃত্যু হতো তাহলে তো তার শরীরে রক্তের দাগ থাকত। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় ইয়ার্ড প্যারামেডিক সুজনের শরীরে কোনো কাটাছেঁড়া কিংবা রক্তের দাগ দেখেতে পাননি।

আরও পড়ুন: কেএসআরএমের অক্সিজেনে শ্বাস নিবে বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। যা অপ্রত্যাশিত। এ বিভ্রান্তি দূর করতেই প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হলো।

প্রতিষ্ঠানটি আরও উল্লেখ করে, কবির স্টিল লিমিটেডে সব শ্রমিক ও কর্মচারীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। এরপর কাজের ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) নিশ্চিত করেই কেবল কাজের অনুমতি দেওয়া হয়।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!