চট্টগ্রামে টাকা মেরে লুকিয়ে ছিল ঢাকায়, কোতোয়ালি পুলিশের জালে ২ প্রতারক

চট্টগ্রামে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অর্ধডজন মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ঢাকার পল্টন ও রামপুরা বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের একজন নন্দনকানন জেসি গুহ রোডের খাইরুল আলম প্রকাশ খাইরুল আনামের ছেলে মো. সাইফুল আলম (৪০)। তার বিরুদ্ধে ৬টি সাজা ও ৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ ১১টি মামলা রয়েছে।

অপরজন ফেনী জেলার জগেরগাঁও ১ নম্বর লতিফ ব্যাপারী বাড়ির মৃত আফজল রহমানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫)। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ৬টি মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চোখের পলকে ৪৫ লাখ টাকার মালামাল গায়েব, যেভাবে ছক কষেছিল ‘প্রতারক চক্র’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার সাইফুল আলমের নগরের নন্দনকাননে গ্লাসের ব্যবসা ছিল। ব্যবসায়িক সূত্র ধরে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেন করতেন। একপর্যায়ে সাইফুল ব্যবসার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার ঋণ নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদাররা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর তিনি চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বনশ্রী রামপুরায় একটি মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন। তার অবস্থান শনাক্ত করে ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরদিকে গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন এক সময় এনএটিই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ে আন্দরকিল্লায় তার লাইব্রেরি ছিল। পাশাপাশি তিনি প্রকাশনার কাজও করতেন। প্রকাশনার কাজ করার সময় তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে পাওনাদাররা তার বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ঢাকার পল্টনে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে বনশ্রী রামপুরা ও পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাইফুলের বিরুদ্ধে ৫টি পরোয়ানাভুক্ত মামলাসহ ১১টি এবং আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ৬টি পরোয়ানাভুক্ত মামলা রয়েছে। আজ (বুধবার) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!