জামাই—শাশুড়ির জুয়ার আসরে পুলিশ, পালাতে চাইল ১০ জুয়াড়ি

আব্দুর রহিম ও ফরিদা বেগম সম্পর্কে জামাই-শাশুড়ি। এই জামাই-শাশুড়ি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিলেন জমজমাট জুয়ার আসর। যে আসরে রাতভর মেতে উঠতেন জুয়াড়িরা। মোগলটুলি এই আসরেই হানা দিয়েছে পুলিশ। জামাই-শাশুড়িসহ আটক করা হয়েছে ১০ জুয়াড়িকে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের আটক করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- ফরিদা বেগম (৫০), আব্দুর রহিম (৪৫), মো.আব্দুল হক বাবুল (৪২), মো. মিন্টু হাওলাদার (২৭), মো. কবির (৪০), জাফরুল্লাহ (৪৯), জাহাঙ্গীর আলম (৪১), মিজানুর রহমান পারভেজ (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) ও বদিউল আলম (৪৭)।

জানা যায়, আগ্রাবাদ মোগলটুলি আহসান উল্লাহ মাতব্বর বাড়িতে ফরিদা বেগমের চারটি বাসা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বাসা ভাড়া দিয়ে দেন। আরেক বাসায় জামাই-শাশুড়ি মিলে জুয়ার জমজমাট আসর পরিচালনা করে আসছিলেন। আব্দুর রহিমের কাজ ছিল নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়াড়ি সংগ্রহ করে নিয়ে আসা। আর জুয়ার বোর্ড দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন শাশুড়ি ফরিদা বেগম।

আরও জানা যায়, সেখানে জুয়া খেলতে আসা বেশিরভাগ জুয়াড়ি নিম্ন আয়ের। তারা সারাদিন কাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন সে টাকা জুয়ার আসরে উড়িয়ে দিতেন।

এ বিষয়ে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আগ্রাবাদ মোগলটুলি এলাকার একটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসার খবর জানতে পারি৷ জুয়ার আসরের মূল হোতা ফরিদা বেগম ও আব্দুর রহিম। তারা সম্পর্কে জামাই-শাশুড়ি। তারা নিম্ন আয়ের মানুষদের নিয়ে জুয়ার আসর বসাতেন। রাতভর চলত জুয়া খেলা।

ওসি আরও বলেন, অভিযানে গেলে ফরিদা বেগম বাসা থেকে বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে জুয়াড়িরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরে ওই বাসা থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ ২ হাজার ৭২৫ টাকা জব্দ করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!