‘বড় চোর’—ফলমণ্ডির চাকরি সেরে জুয়ার আসরে, টাকার নেশায় জড়ায় চুরি পেশায়

মো. ছালেহ আহমদ (২৪)। নগরের ফলমণ্ডি এলাকার এক দোকানের কর্মচারী। চাকরিতে থেকেই জড়িয়ে পড়েন জুয়ায়। বেতনের টাকা উড়াতেন জুয়ার পেছনে। পরে আর্থিক সংকটে পড়লে বেছে নেন চুরির পথ। ফলমণ্ডির একটি দোকান থেকে রাতের আঁধারে চুরি করে ৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা। চুরির পর পালিয়ে যায় গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে।

তবে সোনাইমুড়ি পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি ছালেহ আহমদের। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে চুরি করা নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১টি কাটিং প্লাস, স্ক্রু ড্রাইভার, ক্রিসেন্ট রেঞ্জ লোহার ছেনি ও লোহার বাটাইল উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায়, গ্রেপ্তার চক্রের ৮ চোর

গ্রেপ্তার ছালেহ আহমদ প্রকাশ শাহীন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার কাশিপুর গ্রামের গণি মাস্টার বাড়ির মো. শাহজাহানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার দিকে রুহুল আমিন এন্টারপ্রাইজের মালিক দোকান বন্ধ করে বিআরটিসি ফলমণ্ডির সামনের চায়ের দোকানে চা পান করতে যান। একপর্যায়ে চায়ের বিল দিতে গেলে পকেটে হাত দিতেই দেখেন টাকা নেই। তিনি পুনরায় দোকানে গেলে দেখতে পান ছালেহ আহমদ প্রকাশ শাহীন দোকানের পূর্ব দিকে শাটার খুলে দৌড় দিচ্ছে। এরপর তিনি দোকানে গিয়ে দেখেন ক্যাশবক্স ভাঙা। ফল কেনার জন্য ক্যাশবক্সে রাখা নগদ ৬ লাখ ২৮ হাজার টাকাও নেই। পরে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাহীনের চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মেহেদী হাসান জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি আসামি তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি এলাকায় অবস্থান করছে। সেখান থেকে বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে দুই বাড়িতে কেউ না থাকার ফায়দা লুটল চোরের দল

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গ্রেপ্তার মো. ছালেহ আহমদ চাকরির পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই জুয়া খেলত। একপর্যায়ে সে অর্থ সংকটে পড়লে জুয়ার টাকা জোগাতে চুরিতে জড়িয়ে পড়ে। সে তার ব্যাগে চুরি করার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘুরে বেড়াত এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকত।

তিনি আরও বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রুহুল আমিন এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমতিয়াজ দোকান বন্ধ করে বাইরে যেতে দেখামাত্রই সে দোকানের শাটারের তালা ভেঙে ক্যাশ থেকে নগদ ৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা চুরি করে। চুরির কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকারও করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!