চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিয়ে, ১৩ দিন পর যুবকের আত্মহনন

কর্ণফুলীতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে মো. মোরশেদ (২৭) নামে এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বড়উঠান ইউনিয়নের কেরানী বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মোরশেদ ওই এলাকার আমির আহমদের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চাকরির সুবাদে আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী এলাকার মো. হায়দার আলীর মেয়ে রিনা আকতারের সঙ্গে পরিচয় হয় মোরশেদের। নানা ঝামেলার পর পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে নিজঘরে বিষপান করেন মোরশেদ।

আরও পড়ুন : ‘চাকরির হতাশায় মৃত্যু’—শেষমেষ আত্মহত্যার পথেই গেল যুবক

নিহতের চাচাত ভাই এরফানুর রশিদ জাহাঙ্গীর বলেন, কেইপিজেডের একটি কারখানায় চাকরি করতো মোরশেদ। সন্ধ্যায় চাকরি শেষে ঘরে এলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন সে ঘর থেকে বাইরে চলে যেতে চাইলে সকলে বাধা দেয়। এ সময় অন্য রুমে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করে মোরশেদ।

নিহতের চাচা মুজিবুর রহমান সুমন বলেন, বিষপানের পর তাদের চিৎকারে আমি ছুটে এসে মোরশেদকে মেডিকেল নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল মোরশেদ।

কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউপি চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে জানান, প্রেমের সম্পর্কে দুজন আদালতে ৬ লাখ টাকা কাবিনমূলে বিয়ে করেন। থাকতেন একটি ভাড়া বাসায়। কিন্তু সেই সংসার টিকেনি ৫ মাসও। এ নিয়ে বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদে মামলা করেন তার স্ত্রী। এরপর সেখান থেকে নোটিস জারি করা হলে গত ২৮ আগস্ট উভয়পক্ষ গ্রাম আদালতে হাজির হয়ে হাসিমুখে মেনে নেন বিয়ের সিদ্ধান্ত। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রিনা আকতারকে ঘরে তুলে নেন মোরশেদ। বৃহস্পতিবার মোরশেদ বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইমরান/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!