চেনা সেই ১১ ক্রিকেটারের ভাস্কর্য এবার যাচ্ছে সাগরিকায়, অযত্নেই ছিল নিমতলায়

নগরের নিমতলা বিশ্বরোড মোড়ে শ্রীহীন অবস্থায় থাকা ১১ ক্রিকেটারের ভাস্কর্য স্থানান্তর হচ্ছে। এসব ভাস্কর্য নেওয়া হচ্ছে সাগরিকা জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন রোডে। সেখানেই নতুন রঙে ফুটিয়ে তোলা হবে সাকিব-তামিমদের অবয়ব।

জানা যায়, চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার নির্মাণের কারণে খেলোয়াড়দের ভাস্কর্যগুলো স্থানান্তর করে নিয়ে সাগরিকা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন রোডের পাশে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাস্কর্যগুলো সৌন্দর্যবর্ধন ও পুনরায় স্থাপনের পুরো কাজটি করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সিডিএর নিজস্ব অর্থায়নে ভাস্কর্যগুলোকে স্থানান্তরের পর নতুন করে সাজানো হচ্ছে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সরেজমিন নগরের সাগরিকা রোডে গিয়ে দেখা যায়, ভাস্কর্যগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। সাগরিকা মোড়ে ঢুকতেই রাস্তার পাশে ওয়াকওয়ের ওপর ইট গেঁথে উঁচু করে সেখানে মাটি দিয়ে স্টেডিয়াম আকৃতির নকশা তৈরি করে বসানো হয়েছে ১১টি ভাস্কর্য।

এদিকে ভাস্কর্যগুলো স্থানান্তরের খবরে খুশি চট্টগ্রামের ক্রীড়াপ্রেমী সাধারণ মানুষ। আরাফ নামে এক যুবক আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ভাস্কর্যগুলো আগে নিমতলা বিশ্বরোড মোড়ে ছিল। সেখানে প্রচুর গাড়ির চলাচল ছিল। ভাস্কর্যগুলোর গায়ে ময়লার আস্তরণে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। এখন সেগুলো সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম রোডে আনায় নতুন করে প্রাণ ফিরে পাবে।

শিক্ষার্থী আরমান বলেন, এটি এখন স্টেডিয়াম সংলগ্ন রোডে বসানো হলো। দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়েরা স্টেডিয়ামে যেতেই এগুলো দেখতে পাবেন। এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ।

এদিকে দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে টানা কাজ চলছে। কাজ কবে শেষ হবে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সৌন্দর্যে এটি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেভাবে সিডিএ এটি নির্মাণ করছে।

চসিকের সহকারী স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এটি স্থানান্তরের জন্য আমাদের মেয়র মহোদয় জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। স্থানান্তরের কাজ চলমান রয়েছে। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। নিচে টাইলস দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হবে। গ্রিল দিয়ে পুরো ভাস্কর্য ঘেরা থাকবে। আলোকসজ্জা করা হবে। পুরো কাজটি করছে সিডিএ। সিডিএকে আমরা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছি সেভাবেই কাজ করছে তারা।

যোগাযোগ করা হলে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এটি আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে করা হচ্ছে। মেয়র মহোদয় জায়গায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। চসিক যেভাবে আমাদের নকশা দিচ্ছে এবং সৌন্দর্যবর্ধনে যা যা প্রয়োজন সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। দ্রুত ভাস্কর্যগুলো নতুন রূপ ফিরে পাবে।

এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ১১ খেলোয়াড়ের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। সেসময় ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের কাছে বেশ সাড়া ফেলে ভাস্কর্যগুলো। তবে নির্মাণের পর অযত্ন-অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়ে ভাস্কর্যগুলো।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!