চকবাজার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে সুনামগঞ্জ পালিয়েছিল তাসলিমা

তাসলিমা খাতুন (৩৫)। নগরের চকবাজার থানার ডিসি রোডের বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ফারজানা শারমিনের ফ্ল্যাটবাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ উধাও হয়ে যান তাসলিমা। এর পর থেকে তার আর হদিস পাওয়া যায়নি।

এদিকে তাসলিমা উধাও হওয়ার তিনদিন পর ফারজানা শারমিন ড্রয়ার খুলে দেখেন তাঁর ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা নেই। পরে এ ঘটনায় তিনি চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তাসলিমাকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর থানা এলাকা থেকে গৃহকর্মী তসলিমাকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: চোরের মা’র বড় গলা—চুরিও করল, নাক-মুখ ফাটিয়ে যুবককে পাঠাল হাসপাতালে

গ্রেপ্তার তাসলিমা সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর থানার লামাপাড়া গ্রামের মো. রহিমের স্ত্রী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মো. শরিফুল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গোপন সংবাদে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাসলিমাকে সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস জাহান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নগরের ডিসি রোড এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা ফারজানা শারমিনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন তাসলিমা খাতুন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে চলে যান। পরে আর কাজে ফিরে আসেননি। ১৫ ডিসেম্বর সকালে গৃহকর্ত্রী ফারজানা শারমিন বাসার ড্রলার খুলে দেখেন তার ছয় ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নেই। এরপর তিনি চকবাজার থানায় মামলা করেন।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!