সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে র্যাপেলিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না। কারণ এটি একটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান। তাই এখানে পর্যটন স্পটের মতো কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান তীর্থস্থান চন্দ্রনাথ ধাম। এখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসুক তা আমরা চাই না।’ চন্দ্রনাথ পাহাড়ে কাউকে র্যাপেলিং করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ক্যাবল কারে চন্দ্রনাথ পাহাড়!
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান তীর্থভূমি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধাম। এখানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অসংখ্য সনাতনী ভক্তের আগমন ঘটে। এছাড়া চন্দ্রনাথ পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ছুটে আসেন। সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়া থেকে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের নীল জলরাশি ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করে। এ কারণে তীর্থ যাত্রীদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও আগমন ঘটে। তবে এখানে বিভিন্ন সময়ে আসা পযটকরা তীর্থস্থানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নানা বিতর্কের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি চন্দ্রনাথ পাহাড়ে র্যাপেলিং শুরু করে তরুণ পর্যটকের দল। এছাড়া একটি ট্যুর গ্রুপের নামের সেখানে বড় আয়োজনে একটি র্যাপেলিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল এ আয়োজন। এ নিয়ে আয়োজকরা নানা প্রচারণাও করেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদনও করা হয়। তবে অনুমতি দেয়নি উপজেলা প্রশাসন। এর আগে র্যাপেলিং নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে কাউকে র্যাপেলিং করতে দেওয়া হবে না। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে চন্দ্রনাথ ধামে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।