জলের নিচে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, হাঁটুপানি ডিঙিয়ে মেলে জরুরি ওষুধ

নগরে চলমান বর্ষণে দুদিন ধরে পানির নিচে রয়েছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। হাসপাতালের প্রবেশপথে ও ভেতরে হাঁটুসমান পানি জমে আছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ডাক্তার, নার্স, রোগী ও স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে হাসপাতালের নিচতলায় হাঁটুপানি পানি জমে যায়। এরপর আজ শনিবার (১৮ জুন) ভোরের বৃষ্টিতে আবারও পানি বেড়ে রোগীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পড়তে হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, হাঁটুপানি মাড়িয়ে রোগী ও স্বজনরা হাসপাতালে আসা-যাওয়া করছেন। তবে পুরাতন ভবনের নিচতলায় এখন রোগী নেই। রোগীদের দ্বিতীয় তলা ও নতুন ভবনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুরাতন ভবনের নিচতলায় অফিস রুম ও চিকিৎসকদের কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পানি জমে থাকায় রোগী ও স্বজনদের চলাচলের জন্য নিচতলায় ইট বিছানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিশুর মৃত্যু—মা ও শিশু হাসপাতালে, অবহেলার আঙুলে ডাক্তার—নার্স

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আইয়ুব আলী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে আজ চার-পাঁচদিন। জরুরি ওষুধের প্রয়োজনে নিচতলার ও রাস্তার পানি পেরিয়েই ওষুধ আনতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ড. নুরুল হুদা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত দুদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে আছি। এছাড়া ডাক্তার, নার্স, রোগী ও স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে আছে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন বিভাগের অফিস ছাড়াও রিসিপশন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো নিচতলায়। ইতোমধ্যে সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জোয়ার-ভাটার কারণে পানি উঠানামা করছে বলে জানান তিনি।

যোগাযোগ করা হলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শেখ হারুন উর রশিদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আজও অব্যাহত থাকবে।

আরএএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!