চট্টগ্রাম বন্দরের ‘কর্তা’ সেজে পকেট কেটেছেন অনেকের, দাপিয়ে বেড়াতেন বন্দরে

তিনি কখনো বন্দরের অফিসার, আবার কখনো র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুরে বেড়াতেন নগর ও জেলা শহরে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে অর্জন করতেন বিশ্বাস। বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে বন্দরের ভেতরে ছিল তার অবাধ চলাচল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিলাম শেডে থাকা গাড়ি বিক্রি করার নামে বিভিন্ন কৌশলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন। তার ফাঁদে পড়ে অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব।

তবে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে থেকেও বাঁচতে পারেনি সেই প্রতারক। সঙ্গীসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি গাড়ি ও নগদ ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে দূষণ—জরিমানা বাড়ল, শাস্তিও

গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. মাহবুব আলম (৪২) ও তার সঙ্গী মো. রমজান আলী (৪৮)।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদে নগরের খুলশী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ।

এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, প্রতারকচক্রের মূল হোতা মো. মাহবুব আলম। তিনি কখনো চট্টগ্রাম বন্দরের বড় অফিসার, কখনো র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো বাহিনীর বড় অফিসার পরিচয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মাহবুব প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!