নগরের ইপিজেড এলাকায় নিখোঁজের ১০ দিন পর শিশু আয়াতের খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে নির্মম হত্যাকাণ্ডটি ঘটান তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে আকমল আলী রোড এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।
জানা গেছে, ৫ বছরের শিশু আয়াতকে গত ১৫ নভেম্বর মকতবে যাওয়ার পথে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া। এ বিষয়ে সেদিন রাতে ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন আয়াতের বাবা সোহেল রানা। পিবিআই ঘটনাতদন্তের একপর্যায়ে ঘাতক আবিরকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে আকমল আলী গেট এলাকা থেকে আয়াতের ৬ টুকরো খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই জানায়, ঘাতক আবির আলী আগে শিশু আয়াতের দাদার বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিল৷ একটি পোশাক কারখানায় কাজ করা আবির গত ১৫ নভেম্বর আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা চালালে সে চিৎকার করে উঠে৷ সে সময় আবির শ্বাসরোধ করে আয়াতকে হত্যা করে৷ এরপর আয়াতের নিথর দেহ ঘাতক আবির তার বাসায় নিয়ে গিয়ে ৬ টুকরো করে দুটি ব্যাগে ভরে রাখে৷ পরদিন ১৬ নভেম্বর সেই দেহের টুকরোগুলো বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালে ফেলে দেয়।
এদিকে শিশু আয়াতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আয়াতের মা-বাবা ও স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। আয়াতের স্বজনেরা উদ্ধার করা জুতা, জামা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছেন।
শিশু আয়াতকে অপহরণ ও নির্মমভাবে খুনের ঘটনায় ইপিজেডসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ বছরের শিশুকে নির্মমভাবে খুন জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, শিশুর দেহ পাওয়া যায়নি। তবে শিশুর পোশাক ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএম/এসআই