চট্টগ্রামে ২ মসজিদে বোমা হামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্যসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

নগরের ইপিজেড এলাকায় নৌবাহিনী ঈশা খাঁ ঘাঁটির দুটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্যসহ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। পরে চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন (পলাতক), বলকিপার আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবুল রহমান প্রকাশ রনি ও মান্নানের বড় ভাই আবদুল গাফফার।

ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন ছাড়া ৪ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১০ বছর লুকিয়ে ছিল শিবির ক্যাডার গিট্টু মানিক

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে ২৪ জন আহত হন।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে নগরের ইপিজেড থানায় সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ইপিজেড থানার তৎকালীন পরিদর্শক মু. ওসমান গণি। এতে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। পরে এ মামলার অভিযোগপত্রের পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

আরএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!