নগরের ষোলশহর রেলস্টেশেনের প্লাটফর্মে বসেছে অবৈধ দোকান ও কাঁচাবাজার। এসব দোকানে দিনভর চলে মাদক ও জুয়ার আড্ডা। অবৈধ এসব দোকান ও বাজারের ভাড়া যায় স্টেশন মাস্টারের পকেটে যায়, এমন তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ষোলশহর রেলস্টেশন প্লাটফর্ম ভেন্ডার তালিকায় (২০২১-২২) দেখা গেছে, মোট ১৭টি বৈধ দোকান রয়েছে। এসব দোকান তাজুল ইসলাম, এমএহক, কামাল হোসেন, ষ্টলিন দে, আবুল কালাম আজাদ, নাসিমা আক্তার, সাফিম মাহমুদ, আইনুন নাহার, মোমিন, মো. মমিন, ইব্রাহিম, মো. ইদ্রিস চৌধুরী, রায়হান কায়সার, সফিকুল ইসলাম, আলিফ মইনু, জিয়াউদ্দিন, ফিরোজা আক্তারসহ ১৭ জনের নামে অনুমোদন রয়েছে।
তবে স্টেশন প্লাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, ভেন্ডার তালিকার সঙ্গে দোকানের সংখ্যার কোনো মিল নেই। স্টেশনের প্লাটফর্মে ৩০টি দোকান রয়েছে। অর্থাৎ বাকি ১৩টি দোকান অবৈধ।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দুই হোটেল পার পেলেও ধরা খেল ৪ হোটেল
অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকান থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার-৫ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন স্টেশন মাস্টার মো. ফকরুল ইসলাম। এছাড়া কয়েকটি দোকানে দেখা গেল পাশে অতিরিক্ত চেয়ার-টেবিল বসিয়ে চলছে বেচাকেনা। এসব বাড়তি চেয়ার-টেবিল বসানোর জন্যও দিতে হয় মাসিক ৫০০ টাকা হারে চাঁদা। এসব দোকান ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদক, জুয়া ও ছিনতাইকারীদের আড্ডা।
স্টেশন অফিসের পেছনে ৪নং লাইনে প্রতিদিন বসে কাঁচাবাজার। বাজারে ৪০-৫০টির মতো ভাসমান হকার বেচাকেনা করেন। সেখানেও প্রতি হকার থেকে দিনে ২শ-৩শ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে দোকান ও বাজারের আবর্জনায় স্টেশন ইয়ার্ডসহ আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। অপরিচ্ছন্ন স্টেশনে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীসহ যাত্রীরা যাতায়াত করেন।
একাধিক চবি শিক্ষার্থী বলেন, রেলস্টেশন ইয়ার্ডে অবৈধ দোকান ও বাজারের কারণে আমাদের যাতায়াতে চরম অসুবিধা হয়। নারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ইভিটিজিংয়ের স্বীকার হয়।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ইতি ধর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রেল স্টেশন প্লাটফর্মে অবৈধ দোকানের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ নেব। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।