চট্টগ্রামে সকালের বৃষ্টিতে দুপুরেও জলজট, পানির নিচে হালিশহর—মুরাদপুর—বাকলিয়া
নগরে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে! এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
শনিবার (২১ মে) সরেজমিন দেখা গেছে, চকবাজার, প্রবর্তক, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, শান্তিবাগ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ নগরের নিচু এলাকায় কোথাও কোমরপানি আবার কোথাও হাঁটু পানি জমে গেছে।
সচেতন মহল বলছে, চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। কয়েক দফার বর্ষণে নগরের বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ মৌসুমে সব খালের মুখে যে মাটির স্তূপ পড়েছিল তা অপসারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন খালের সংস্কার, পুনঃখনন ও সম্প্রসারণ কাজের কিছুটা সুফল পাওয়া গেছে। তবে যেভাবে আশা করা হয়েছিল সেই আশার প্রতিফলন এখনও ঘটেনি।
মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, নগরের জলাবদ্ধতার নিরসন করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কিন্তু জলাবদ্ধতা কমছে না। বরং প্রতি বছরই দেখছি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই পানি উঠবে, এটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চললেও আমরা সুফল পাচ্ছি না। মুরাদপুর থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত হাঁটুপানি। অথচ ১০ বছর আগেও এমন চিত্র ছিল না এ মহাসড়কে।
বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা মাসফিকুল বলেন, বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার এ সমস্যা থাকলেও এ থেকে মুক্তি মিলছে না। জনপ্রতিনিধিরা আসে যায়। আশ্বাসও মেলে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা মিলে না। প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বরাদ্দ হয় কোটি কোটি টাকা। কিন্তু বৃষ্টিতে ঠিকই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আরও পড়ুন: করোনা : চট্টগ্রামে একদিনে বাড়ল শতাধিক নমুনা পরীক্ষা
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল বিভাগের বেশ কয়েক জায়গায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত। রয়েছে মাঝারি ও ভারী বর্ষণেরও আভাস। এ সময় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাতে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে।
এদিকে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।