চট্টগ্রামে শিশু খুন—ভবন মালিককে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে ৩ খুনিকে

দক্ষিণ বাকলিয়ার মিয়াখান নগরে শিশু আবদুর রহমান আরাফ (২) হত্যা মামলায় তিন আসামিকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৮ মে) আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন।

মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আসামিরা হলেন- মো. ফরিদ (৩৮), মো. হাসান (২৩) ও নাজমা বেগম। রায়ের পর আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, আসামি ফরিদ বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়ার অনুসারী ছিলেন। ঘটনার আগে কাউন্সিলর প্রার্থী ও ভবন মালিক নুরুল আলম মিয়ার প্রচারে হামলার ঘটনায় ফরিদকে আসামি করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন৷ ভবন মালিক নুরুল আলম মিয়াকে ফাঁসাতে অপর দুই আসামি মো. হাসান ও তার মা নাজমা বেগমের সহযোগিতায় ষড়যন্ত্রের জাল বুনেন ফরিদ। সেই অনুযায়ী ভবনের ভাড়াটিয়া আবদুল কাইয়ুম ও ফারহানা ইসলাম দম্পতির একমাত্র সন্তান শিশু আবদুর রহমান আরাফকে খুন করা হয়। এ বিষয়ে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এর আগে শিশু আরাফ হত্যা মামলার রায়ের দিন ৩০ মার্চ নির্ধারিত থাকলেও সেটা পিছিয়ে ২৮ মার্চ করা হয়। পরে আরাফের বাবা-মায়ের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মামলার এক আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় ঘোষণার দিন আবারো পিছিয়ে যায়।

তবে নিহত শিশু আরাফের বাবা-মায়ের ডিএনএ পরীক্ষার সেই আবেদন বিচারক নাকচ করে দেন। আজ তিন আসামির সবাইকে দোষি সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।

২০২০ সালের ৭ জুন বাকলিয়ার ম্যাচ ফ্যাক্টরি রোডে নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির ছাদের ট্যাংক থেকে শিশু আরাফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জন ও আসামিপক্ষে ১০ জন সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া মামলাটির চার্জ গঠন করা হয় ২০২১ সালের ১০ মার্চ। শিশু আরাফ হত্যা মামলার তিন আসামির সবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।

আইজেএন/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!