চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে আগুনে গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ৩ নেতা ধরা, বাকিদেরও খুঁজছে পুলিশ

নগরের আলমাস সিনেমা হল মোড়ে মশাল মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বন্দর এলাকার জাফর আহম্মদ চেয়ারম্যানের ছেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. ইরফানুল হাসান রকি (৩২), একই এলাকার মৃত নজির আহম্মদের ছেলে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফুর রহমান (৩২) এবং মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে নগর যুবদল সদস্য মো. নজরুল ইসলাম (৩০)।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বুধবার রাতে আলমাস সিনেমা হলের সামনে মশাল মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সিসিটিভে ফুটেজ পর্যালোচনা করে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে আছেন।

এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে মশাল মিছিল করে বিএনপি নেতারা। এ সময় মিছিল থেকে বেরিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটান তারা। দুটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ ও বেশকিছু গণপরিবহনে হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় ভাঙচুরের শিকার এক গাড়ির মালিক ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল আহ্বায়ক সাইফুল আলম (৩২), সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন (৩৩), ছাত্রদল নেতা এইচএম আসিফ চৌধুরী লিমন (৩৫), জহির উদ্দিন বাবর (৩৪), মাহমুদুর রহমান বাবু (২৭), মিশু (২৬), জিএম সালাউদ্দিন কাদের আসাদ (২৭), শহিদুল ইসলাম সুমন (৩৭), এমএ হাসান বাপ্পা (৩৮), ইমরান হোসেন বাপ্পী (৩৬), আল মামুন সাদ্দাম (২৮), তারেক আজিজ বিপ্লব (২৭), আব্দুল কাদের (২৫), শামীমসহ (২৬) অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ জন।

আরএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!