নগরের পাহাড়তলীতে বিড়ালছানা দেওয়ার লালসায় দশ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সবজি বিক্রেতা মো. রুবেলের (৩৫) বিরুদ্ধে। আবিদা সুলতানা আয়নী নামে শিশুটি গত আট দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে অপহরণের ঘটনার পরদিন সেই সবজি বিক্রেতা বেশভূষা পরিবর্তন করেছেন বলেও আদালতে অভিযোগ করেন শিশুটির মা মোছাম্মত বিবি ফাতেমা। অভিযুক্ত রুবেল নগরের পাহাড়তলী থানার কাজীর দীঘি এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শারমিন জাহানের আদালতে এসব অভিযোগ তুলে ধরে মামলার আবেদন করা হয়। সন্দেহভাজন সিসিটিভি ফুটেজ থাকলেও পুলিশের খামখেয়ালিপনায় জামালখান এলাকার বর্ষা হত্যার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে শঙ্কাপ্রকাশ করছেন অনেকেই।
এদিকে বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে সরাসরি মামলা গ্রহণ করতে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ। এতে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পক্ষে অ্যাড. জিয়া হাবিব আহসানসহ প্যানেল আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী পাহাড়তলী থানার কাজীর দীঘি এলাকায় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ২১ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। এরপর পরিবার তার খোঁজ না পেয়ে এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে।
সিসিটিভি ফুটেজ ২০ মার্চ দুপুরে স্কুলের টিফিন ছুটির সময় ভিকটিমকে সবজি বিক্রেতা রুবেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এর আগে স্কুলের বান্ধবী বিড়ালছানা কেনায় ভিকটিম শিশুও মায়ের কাছে বিড়ালছানা কেনার বায়না ধরে। বেতন পেলে মা বিড়ালছানা কিনে দিবে বলে আশ্বস্ত করেন। এ সময় ভিকটিম শিশুটি তার মাকে জানায়, এলাকার সবজি বিক্রেতা রুবেল তার এক পরিচিত লোক থেকে বিড়ালছানা এনে দিবে। সেই লোক থেকে বিড়ালছানা নিতে মানা করেন ভিকটিমের মা ও দাদী।
কিন্তু ২১ মার্চ আরবি পড়তে যাওয়ার সময় সবজি বিক্রেতা রুবেলের সঙ্গে ভিকটিমের কথোপকথনের চিত্র ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। এ সময় রুবেলের হাতে থাকা একটি বাজারের থলেতে বিড়ালছানা দেখা যায়। এরপর সেই থলে ভিকটিমের হাতে তুলে দেন। এরপর তাদের আর দেখা যায়নি।
সেই সময়ের পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী। এ বিষয়ে পাহাড়তলী থানার সহায়তা চাইলে পুলিশ অভিযুক্ত রুবেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়। এছাড়া ঘটনার পরদিন থেকে রুবেল দাড়ি কেটে ভেষভূষা পরিবর্তন করে এলাকায় অবস্থান করছেন।
আরএস/এসআই