চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, মশা মারতে ফের মাঠে সিটি করপোরেশন

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বেড়েছে মশার উপদ্রব। সেইসঙ্গে নগরের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে আবারও নগরজুড়ে মশা মারার ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ৩৭ নম্বর উত্তর-মধ্য হালিশহর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম।

এর আগে গত ২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) ডেঙ্গু বিস্তার রোধে চট্টগ্রামে সপ্তাহব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন মেয়র এম রেজাউল করিম। কিন্তু এরপরও ডেঙ্গুর বিস্তার কমেনি।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর হানা চট্টগ্রামেও, মাথাব্যথা নেই সিটি করপোরেশনের—১২ এলাকায় বাড়ছে রোগী

এদিকে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন শেষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে র্যালিসহ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে লিফলেট বিতরণ করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র। পরে তিনি মুনির নগরের বিভিন্ন বাড়ির ছাদবাগান পরিদর্শন করেন।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম বলেন, আবহাওয়াগত কারণে নগরে মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও নালা-নর্দমার জমাটবদ্ধ পানিতে মশার প্রজনন বৃদ্ধি রোধে ওষুধ ছিটানো হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত মশা নিধনের পদক্ষেপ হচ্ছে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা। আমাদের চারপাশের যেসব স্থানে এডিস মশা জন্ম নেয় সেসব স্থান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ধারণা দিতে হবে। পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসা-বাড়ির আশপাশে ডাবের খোসা, ফুলের টব, ছাদ বাগান, ফ্রিজের ট্রে, এসির জমা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের বোতল ও পানির ড্রামে জমানো পানি যাতে তিনদিনের বেশি না থাকে সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।

মেয়র আরও বলেন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবরের মাঝে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। বর্তমানে কারো জ্বর বা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে চসিক জেনারেল হাসপাতাল ও আরবান হেলথ সেন্টারে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে নগরবাসীর প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ছাদবাগান, নির্মাণধীন ভবনসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মান্নান, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মারুফা বেগম নেলী, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মু. আবুল হাশেম, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!