রাঙ্গুনিয়ার জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার পলাতক আসামি তোতা মিয়াকে ৭ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকা থেকে গোপন সংবাদে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (১৪ আগস্ট) র্যাব-৭ এর সিপিসি-৩ চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রামদা’র কোপে যুবককে খুন করে ঢাকায় পালিয়ে যায় আনোয়ার
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জিল্লুর ভান্ডারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের একজন হলেন তোতা মিয়া।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তোতা মিয়া কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে ঢাকার উত্তরা দশ নম্বর সেক্টর এলাকায় পরিবার নিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। পালিয়ে থাকাকালীন প্রথমে ইজিবাইক ও পরবর্তীতে অটোরিকশা চালিয়ে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, এ মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করা হয়। পরে গোয়েন্দা তথ্যে গতকাল শনিবার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তোতা মিয়াকে ঢাকার তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তোতা মিয়া সাত বছর ধরে পলাতক ছিলেন। তিনি রাঙ্গুনিয়ার বাইশ্যার ডেবা এলাকার আবু সালেহ ওরফে বইল্যার ছেলে।