সৌভাগ্যের ঘরে চট্টগ্রামে করোনা

প্রকৃতিতে ৭ সংখ্যাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যেমন ৭ দিনে এক সপ্তাহ, রঙধনুতে ৭ রঙ, পৃথিবীতে মহাদেশও আছে ৭টি। এ রকম বিভিন্ন কারণে পৃথিবীর মানুষ ৭ সংখ্যাটিকে সৌভাগ্যের সংখ্যা মনে করে। বাঙালি সংস্কৃতিতেও সৌভাগ্যের সংখ্যা হিসেবে ধরা হয় ৭ সংখ্যাটিকে।

সেই সৌভাগ্যের ঘরে এসেছে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার। অবশ্য গত ৭ দিন ধরেই চট্টগ্রামে কমছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিন কমছে শনাক্তের সংখ্যা।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে করোনা : মেঘের কোলে রোদ হেসেছে

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১৭ জনের। এরমধ্যে ১১১ জন নগর ও ১০৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। শনাক্তের হার সাতের আশপাশে।

আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ৩৫২ জন। শনাক্তের হার ছিল ১১.৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০ ল্যাবে ৩ হাজার ১২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে বিআইটিআইডিতে ৬৩২ নমুনায় ৭৫ জন, শেভরনে ৪৯৮ নমুনায় ১৯ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪০৭ নমুনায় ২১ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৯৩ নমুনায় ১১ জন, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৫৬ নমুনায় ৮ জন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২৬ নমুনায় ১১ জন, এন্টিজেন টেস্টে ১৭২ নমুনায় ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯ নমুনায় ৫ জন এবং আরটিআরএলে ১২ নমুনায় ৫ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ইপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ল্যাবএইড এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে করোনা : ৬ দিন পর ফের আহাজারি

উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী ১২ জন, মিরসরাই ১১ জন, পটিয়া ১১ জন, চন্দনাইশ ১১ জন, ফটিকছড়ি ৯ জন, সাতকানিয়া ৯ জন, বোয়ালখালী ৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৮ জন, রাউজান ৭ জন, সীতাকুণ্ড ৬ জন, বাঁশখালী ৫ জন, লোহাগাড়া ৪ জন, আনোয়ারা ৪ জন এবং সন্দ্বীপে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

নগরে ৯০ হাজার ৬১১ জন এবং উপজেলায় ৩৩ হাজার ৯৩১ জনসহ মোট শনাক্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪২ জন।

চট্টগ্রামে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৩৬০। যার ৭৩৪ জন নগর এবং ৬২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!