চট্টগ্রামে করোনায় হঠাৎ ‘উল্টো’ চিত্র

চট্টগ্রামে করোনায় হঠাৎ দেখা গেছে ‘উল্টো’ চিত্র। নগরের চেয়ে হঠাৎ করোনা রোগী বেড়ে গেছে উপজোলায়!

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১১ জনের ৬ জনই উপজেলার। বাকি ৫ জন নগরের। শুধু দুই উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ৬ জন। এর মধ্যে এক উপজেলায়ই ৫ জন! আর বাকি ১৩ উপজেলায় শনাক্ত শূন্য।

চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ও শনাক্তের হার গত দুদিনের চেয়ে সামান্য বাড়লেও ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। এছাড়া মৃত্যুতেও নগর ও উপজেলায় বজায় রয়েছে সাফল্যের ধারাবাহিকতা।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা : এবার উপজেলায় সুখবর

বিশেষজ্ঞদের মতে— শনাক্তের হার ৫ শতাংশের কম হলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বলা যাবে। সে হিসেবে বলা যায় চট্টগ্রামে করোনা এখন ‘নিয়ন্ত্রণে’।

এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬ ল্যাবে ৬৩৫ নমুনায় পরীক্ষায় শনাক্ত নেই কেউ। ১৩ উপজেলার চিত্রও অভিন্ন। আবার গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো করোনার রোগীর মৃত্যুও হয়নি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৮ শতাংশ।

রোববার (৬ মার্চ) ১ হাজার ৪০১টি নমুনায় শনাক্ত হয়েছিল ১২ জন। এর মধ্যে নগরে ১১ জন ও উপজেলায় ১ জন। তবে এদিন করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

সোমবার (৭ মার্চ) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১ ল্যাবে ১ হাজার ১৫ নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৭৪ নমুনায় ১ জন, শেভরনে ১৯৭ নমুনায় ৩ জন, আরটিআরএলে ৫ নমুনায় ১ জন, ইপিক হেলথ কেয়ারে ৮৮ নমুনায় ১ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘নিয়ন্ত্রণে’ করোনা

এছাড়া এদিন ১৬ এন্টিজেন পরীক্ষায় ৫ জন শনাক্ত হয়েছে।

তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫৭, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩৫, মেডিকেল সেন্টার হাসসপাতালে ১১৫, এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতালে ২১৮ এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫ নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।

এদিকে বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ল্যাবএইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এদিন করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলার মধ্যে সাতকানিয়ায় ১ জন ও মিরসরাইয়ে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে হাটহাজারী, বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি, পটিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, রাউজান ও সন্দ্বীপ উপজেলায় এদিন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

নগরে ৯২ হাজার ৩৮ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৫১৭ জনসহ চট্টগ্রামে মোট শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৫ জন। মোট মৃত্যু ১ হাজার ৩৬০। যার ৭৩৪ জন নগর এবং ৬২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!