আবারও চট্টগ্রামে ‘ভয়ঙ্কর‘ আঘাত হেনেছে করোনা। একদিনে মারা গেছেন ৭ জন! মৃত্যুতে নগরকে ফের ছাড়িয়ে গেছে উপজেলা।
এদিকে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। শনাক্তের হারও ঊর্ধ্বমুখী।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ২২৭ জন নগরের এবং ১০০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। শনাক্তের হার ২৮ শতাংশেরও বেশি!
২৪ ঘণ্টায় নগরে ১ জন এবং উপজেলায় ৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনও ৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৫৭ হাজার ৯৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার (২৮ জুন) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ২১৪ নমুনা পরীক্ষায় ২০ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৭ নমুনা পরীক্ষায় ৫৮ জন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯১ নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১১ নমুনা পরীক্ষায় ৬৯ জন, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩ নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫৯ নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জন, শেভরন ল্যাবে ১৯২ নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৬৩ নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জন, মেডিকেল সেন্টারে ৩০ নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৪০ নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জন করোনা পজিটিভ হন।
এর বাইরে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা মেলেনি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ১ জন, বাঁশখালীর ১ জন, আনোয়ারার ২০ জন, পটিয়ার ১১ জন, বোয়ালখালীর ৫ জন, রাঙ্গুনিয়ার ১২ জন, রাউজানের ১৭ জন, হাটহাজারীর ১৮ জন, ফটিকছড়ির ১ জন, মিরসরাইয়ের ৪ জন, সীতাকুণ্ডের ৮ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ২ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজ (২৮ জুন) থেকে ফের শুরু হয়েছে লকডাউন।
জেডএইচ