চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে একদিনেই করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৫ শতাংশ নমুনায়। একইসময়ে এপিক হেলথ কেয়ারে করোনা শনাক্ত হয় ৬১ শতাংশ নমুনায়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ৮৯ নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ২২৩ জন নগরের এবং ১৪৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
একইসময়ে জেলায় ৬ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। যার মধ্যে নগরের ২ জন ও উপজেলার বাসিন্দা ৪ জন।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭১৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৬০ হাজার ৩৬৮ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ৩২৮ নমুনা পরীক্ষায় ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ১৪৮ নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬০ জনের।
এছাড়া অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৭৩ নমুনা পরীক্ষায় ১০০ জন, শেভরন ল্যাবে ১২৪ নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৬ নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৪০ নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জন ও মেডিকেল সেন্টারে ১৬ নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ৪ জন, সাতকানিয়ার ৬ জন, বাঁশখালীতে ৪ জন, চন্দনাইশের ১০ জন, পটিয়ার ৪ জন, বোয়ালখালীতে ৫ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৮ জন, রাউজানের ৮ জন, হাটহাজারীর ২০ জন, ফটিকছড়ির ২৩ জন, মিরসরাইয়ের ১৯ জন এবং সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৩৫ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন লকডাউন চলছে।
জেডএইচ