চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের ‘পথের কাঁটা’ স্বতন্ত্র প্রার্থী, মাঠে আছে জাপা—ইসলামী আন্দোলনও

চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মাঠে রয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ইসলামী আন্দোলন। তবে এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিল অনুযায়ী তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ছিল প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ৫৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ বদরখালী, পূর্ব বড় ভেওলা, কৈয়ারবিল সাহারবিল (ইভিএম), পশ্চিম বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, কোনাখালী, ভেওলা মানিকচর (বিএমচর), লক্ষ্যারচর (ইভিএম) ও কাকারায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ৫৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : ইউপি নির্বাচন—রাউজানে নৌকায় উঠলেন যারা

১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৩ জন। তারা হলেন- বদরখালী ইউনিয়ন থেকে আবু নাইম মো. হাফেজ (স্বতন্ত্র), আহসানুল কাদের চৌধুরী (স্বতন্ত্র), জাকের আহমদ (স্বতন্ত্র), আলী আকবর (স্বতন্ত্র), মো. আলী চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. আলী (স্বতন্ত্র), মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র), শামসুদ্দিন (স্বতন্ত্র), নুরে হোছাইন আরিফ (আওয়ামী লীগ), মো. নাছির উদ্দিন (জাতীয় পার্টি) এবং জসিম উদ্দিন (স্বতন্ত্র)।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন থেকে মো. আনোয়ারুল আরিফ (স্বতন্ত্র), কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), মো. আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র), ফারহানা আফরিন মুন্না (আওয়ামী লীগ), সাইফুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), নুরুল্লাহ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) এবং মো. সালাহউদ্দিন (স্বতন্ত্র)।

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান মক্কি ইকবাল হোসেন (স্বতন্ত্র), মো. জকরিয়া (স্বতন্ত্র), আফজল উর-রহমান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), তৌহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মু. হিশাম উদ্দিন (স্বতন্ত্র), জনানতুল বকেয়া রেখা (আওয়ামী লীগ), মো. আনিচ উর রহমান জুয়েল (স্বতন্ত্র), মো. মামুনুর রশিদ (স্বতন্ত্র) আব্দুর রহমান এবং আবেদ (স্বতন্ত্র)।

সাহারবিল ইউনিয়ন থেকে জুনাইদুল হক (স্বতন্ত্র), নবী হোছাইন (স্বতন্ত্র), মো.আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), আবদুল আলিম (স্বতন্ত্র), মাহমুদুল হাসান (স্বতন্ত্র), মহসিন বাবুল (আওয়ামী লীগ), জুনাইদুল হক (জাতীয় পার্টি) এবং মু. খানে আলম (স্বতন্ত্র)।

পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন থেকে ওয়াহেদ মুরাদ হেফাজুতুর রহমান (স্বতন্ত্র), রবিউল এহেছান (স্বতন্ত্র), নুরুল বশর চৌধুরী বাচ্চু (স্বতন্ত্র), ওয়াহেদ ফয়েজ মো. সামউনুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) এবং নিয়ামত উল্লাহ (স্বতন্ত্র)।

ঢেমুশিয়া থেকে মো. নুরুল আলম (স্বতন্ত্র), কফিল উদ্দিন (স্বতন্ত্র), মো. হোছনে মোবারক (স্বতন্ত্র), মো. রিদুয়ান হাফিজ চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এসএম মাঈন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ফরিদুল আলম (স্বতন্ত্র) এবং মো. এহেছান (স্বতন্ত্র)।

কোনাখালী থেকে আনোয়ারুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মো. ইয়াছিন (স্বতন্ত্র), মো. রুহুল কাদের (জাতীয় পার্টি), মো. নুরুল কবির (স্বতন্ত্র), জাফর আলম সিদ্দিকী (আওয়ামী লীগ) এবং বর্তমান চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার (স্বতন্ত্র)।

ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) থেকে নাছির উদ্দিন (স্বতন্ত্র), মো.আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মো. আলমগীর (স্বতন্ত্র), বতর্মান চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), মো. সোয়াইবুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), বদিউল আলম (আওয়ামী লীগ), আরিফ মো.অলি উল্লাহ (স্বতন্ত্র), আমজাদ হোছাইন (স্বতন্ত্র) এবং মো.শামসুল হক (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)।

লক্ষ্যারচর থেকে নুর মো. মানিক (স্বতন্ত্র), মো. সাইকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মো. ওসমান (স্বতন্ত্র), মহিউদ্দিন মো. আওরঙ্গজেব (আওয়ামী লীগ) এবং বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার।

কাকারা থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত ওসমান (আওয়ামী লীগ), শাহাব উদ্দিন (স্বতন্ত্র) এবং মো. ইছম-ইলাহী (স্বতন্ত্র)।

এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৩৮৩জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১০ জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত ৩ জন, ইসলামী আন্দোলনের ২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে ৫৮ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ৫৮৯। জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। ৪ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই হবে।

এছাড়া ১১ নভেম্বর প্রত্যাহার এবং ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। ২৮ নভেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের জন্য তিনজন রির্টানিং কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মুকুল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!