চকবাজারে চাঁদার ভাগ নিয়ে ‘কিশোর গ্যাং—ছাত্রলীগ’ মারামারিতে কপাল পুড়ল গরিবের

নগরের চকবাজারে রাস্তা ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চকবাজার প্যারেড মাঠ সংলগ্ন কেয়ারি ইলিশিয়ামের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্যারেড মাঠ সংলগ্ন রাস্তা ও ফুটপাতের হকার ও টং দোকান থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও চকবাজারের ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এর জেরে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ভাসমান দোকানে ভাঙচুর করে জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: লঙ্কাকাণ্ড—বিজয় মেলার শেষমুহূর্তে চাঁদাবাজি-মারামারি, ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান চালাতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েক দফা চাঁদা দিতে হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। আজও আমাদের কাছ থেকে তারা চাঁদা তুলতে আসে। এসময় টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে তারা নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাঝখানে আমাদের দোকান ভাঙচুর করে জিনিসপত্র মাটিতে ফেলে দেয়।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ ও স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যদের দিকে। কিন্তু অভিযুক্তরা উল্টো এসব টং দোকানদারদের দায়ী করছেন।

জানা যায়, স্থানীয় বখাটেদের মদদে এসব টং দোকানে নিয়মিত মাদক সেবন ও কেনাবেচা চলে। যার ফলেই এসব টং দোকান উচ্ছেদের দাবি করে আসছিলেন তারা। তবে কে বা কারা এই মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তারা।

আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা—বাঁচল না সেই ব্যবসায়ী

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক বলেন, কলেজ এলাকায় এসব টং দোকান থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এগুলোতে মাদক বিক্রি হয়। আর ভাঙচুর যদি হয়েও থাকে এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সেটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বেশকিছু ক্লু আমরা পেয়েছি। আরও কিছু সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আমাদের অফিসার আছেন। তিনি বিস্তারিত তথ্য দিলে আপনাদের বিশদ আকারে জানানো হবে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!