ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’—পতেঙ্গাজুড়ে জেলা প্রশাসনের মাইকিং

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে অবস্থানরত পর্যটক ও আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো.মুমিনুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে জরুরি সেবা সেল চালু করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও ওষুধ মজুদ করা আছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’—সেন্টমার্টিনে ডুবল ১৫ ট্রলার, উড়ছে ঘরের চাল

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে অবস্থানরত পর্যটক ও আশপাশের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উত্তর মধ্য বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও কিছুটা উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এখন উত্তর বঙ্গপোসাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং অবস্থানের ৫৫ কিলোমিটারের ভেতরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার। যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার মধ্যরাত থেকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ভোরের যেকোনো সময়ে আঘাত আনতে পারে সিত্রাং। দেশের মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!